পরিদর্শনে নৌপ্রতিমন্ত্রী
খনন করা মোংলা-পাকশী নৌরুটে যাচ্ছে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুতের ভারি যন্ত্রপাতি
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০১:৪৯ পিএম, ২৮ নভেম্বর ২০২০ শনিবার আপডেট: ০১:৫০ পিএম, ২৮ নভেম্বর ২০২০ শনিবার
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে রাশিয়া থেকে আসা ভারি যন্ত্রপাতি মোংলা হয়ে পাকশী পর্যন্ত নৌপথে সহজে পৌঁছাতে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ৯৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে মোংলা-চাঁদপুর-মাওয়া-গোয়ালন্দ-পাকশী নৌরুট খনন করা হয়েছে।
এরই মধ্যে ভারি যন্ত্রপাতি নিয়ে ২২টি জাহাজ মোংলা থেকে পাকশী পৌঁছেছে। আরো তিনটি জাহাজ মোংলা থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে পৌঁছবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১ নং ইউনিটের প্রথম কংক্রিট ঢালাই উদ্বোধনের পর বাংলাদেশ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের এগিয়ে চলেছে।
এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ পারমাণবিক বিদ্যুৎ ক্লাবের অংশ হয়েছে। আশা করা যায় ২০২৩ সালে রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে।
বিষয়গুলো উঠে এসেছে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী শনিবার (২৮ নভেম্বর) পাবনায় রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শনকালে কর্মকর্তাদের সাথে এক বৈঠকে।
এসময় খালেদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, "দীর্ঘদিন পর আমরা উন্নয়নের সুযোগ পেয়েছি। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কাংখিত লক্ষ্যে পৌঁছে যাব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এক ছাতার নিচে কাজ করছি; আশা করছি সফল হব।"
"প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ শেষে দক্ষিণাঞ্চলে অনুরুপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।"
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প প্রতিষ্ঠানের ভাইস প্রেসিডেন্ট সার্জি লাস্টোকিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুহাস্মদ আকবর হুসেইন ও উপ প্রকল্প পরিচালক হাসিনুর রহমান।
ভাইস প্রসিডেন্ট সার্জি লাস্টোকিন প্রকল্পের বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত তুলে ধরেন। এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
প্রকল্পের জন্য রাশিয়া থেকে আসা ভারি যন্ত্রপাতি পরিবহনে সহযোগিতার জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রশংসা করেন এবং আগামীতে নৌপরিবহন মন্ত্রণায়ের আরো সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।