অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

পাকিস্তানে ‍পুলিশের গাড়িতে বোমা হামলায় নিহত ৩, আহত ২৭

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

প্রকাশিত: ০১:২৭ পিএম, ৩০ নভেম্বর ২০২২ বুধবার  

পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কোয়েটায় আত্মঘাতী বোমা হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এ হামলায় আহত হয়েছেন আরও ২৭ জন, যাদের মধ্যে ২৩ জনই পুলিশ সদস্য।

জিও নিউজের খবরে বলা হয়, পাকিস্তানি তালেবান তার যোদ্ধাদের সারা দেশে হামলা চালানোর আহ্বান জানানোর দুদিন পরই বুধবার (৩০ নভেম্বর) কোয়েটার বালেলি এলাকায় পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হলো।  

কোয়েটা পুলিশের মুখপাত্র আব্দুল হক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, পুলিশের একটি টহল গাড়িকে লক্ষ্য করে চালানো এ হামলায় হতাহতদের মধ্যে এক শিশু এবং ১৫ জন পুলিশ সদস্য রয়েছেন

এ হামলার দায় স্বীকার করেছে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)। তারা জানায়, গত আগস্টে আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে বোমা হামলায় তাদের সাবেক মুখপাত্রের হত্যার প্রতিশোধ নিতেই এ হামলা চালানো হয়েছে।  

চলতি মাসের শুরুর দিকেও দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে পুলিশের একটি টহল দলের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান। এতে ছয় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন।  

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা জানান, আফগান তালেবান থেকে আলাদা হলেও পাকিস্তানের এ সংগঠনটি একই মতাদর্শে বিশ্বাসী। গত জুন মাসে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি সত্ত্বেও বিভিন্ন স্থানে তারা নিয়মিত হামলা চালিয়ে আসছে।  

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের জুনে সরকারের সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয় টিটিপি। এর ছয় মাস পর গত সোমবার (২৮ নভেম্বর) সেই চুক্তি থেকে আসার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে গোষ্ঠীটি। সেই সঙ্গে দেশজুড়ে হামলা চালানোর যোদ্ধাদের নির্দেশও দেয়।

গোষ্ঠীটির এমন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে পাক সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। একাধিক বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সমন্বয়ে ২০০৭ সালে গঠিত হয় তেহরিক-ই-তালিবান। খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বিস্তীর্ণ অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে এ বিদ্রোহীরা।

২০১৪ সালে পেশোয়ারের একটি স্কুলে হামলা চালিয়ে শতাধিক শিক্ষার্থীকে হত্যা করে তারা। এরপর একাধিক অভিযান চালিয়েও তাদের বাগে আনতে পারেনি পাক সেনারা।