অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার রাবিতে স্মরণ সভা

ক্যাম্পাস করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০১:৪২ পিএম, ১৬ নভেম্বর ২০২২ বুধবার   আপডেট: ০১:৪২ পিএম, ১৬ নভেম্বর ২০২২ বুধবার

প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক হাসান আজিজুল হকের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাবির সক্রিয় বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার সংগঠন বাংলাদেশ চর্চা পাঠচক্র আগামীকাল ১৭ নভেম্বর ‘হাসান আজিজুল হক স্মরণসভার’ আয়োজন করেছে।

রাবির শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মিলনায়তনে এদিন বিকেল ৫টায় এই স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে। কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক এই পাঠচক্রের উপদেষ্টা ছিলেন। ২০০৯ সালের পর থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই পাঠচক্রের প্রতিটি আয়োজনে সভাপতিত্ব করেছেন তিনি। স্মরণসভায় হাসান আজিজুল হকের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্মরণ-সঙ্গীত পরিবেশন, তাঁর কালজয়ী কথাসাহিত্য থেকে পাঠ, তাঁর লেখা কবিতা থেকে পাঠ এবং তাঁর কাজ নিয়ে মূল্যায়ন ও স্মৃতিচারণ পর্ব অনুষ্ঠিত হবে।

স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার। সভাপতিত্ব করবেন পাঠচক্রের অন্যতম সহ-সভাপতি ও রাবির আইবিএসের প্রফেসর স্বরোচিষ সরকার। সঞ্চালনা করবেন পাঠচক্রের সাধারণ সম্পাদক এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রফেসর সাজ্জাদ বকুল।

এই পর্বগুলোতে অংশ নেবেন একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক-চিন্তক, রাবির আইবিএসের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক সনৎ কুমার সাহা, খ্যাতিমান কবি অধ্যাপক চৌধুরী জুলফিকার মতিন, অধ্যাপক সুব্রত মজুমদার, অধ্যাপক মহেন্দ্রনাথ অধিকারী, গবেষক অধ্যাপক তসিকুল ইসলাম রাজা, কবি আরিফুল হক কুমার, কবি মোহাম্মদ কামাল, নাট্যকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আমিরুজ্জামান প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, একুশে পদক, স্বাধীনতা পুরস্কারসহ দেশি-বিদেশি বহু পুরস্কার-সম্মাননাপ্রাপ্ত কিংবদন্তি ছোটগল্পকার হাসান আজিজুল হক রাজশাহীর বিহাসে নিজ বাসভবন ‘উজান’-এ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর রাতে। বাংলা কথাসাহিত্যে ষাটের দশকে ‘শকুন’ গল্পের মাধ্যমে শক্তিশালী এই লেখকের আবির্ভাব ঘটে। তাঁর ভাষাশৈলী ছিল ক্ষুরধার চাবুকের মতো। সমাজের শোষিত, নিপীড়িত, বঞ্চিত মানুষের জীবনসংগ্রাম তিনি তাঁর লেখায় সুনিপুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। ‘আত্মজা ও একটি করবী গাছ’, ‘সমুদ্রের স্বপ্ন শীতের অরণ্য’, ‘পাতালে হাসপাতালে’, ‘নামহীন গোত্রহীন’, ‘আগুনপাখি’, ‘সাবিত্রী উপাখ্যান’ তাঁর বহুল প্রশংসিত ছোটগল্পগ্রন্থ ও উপন্যাস। তিনি শক্তিশালী প্রবন্ধকার, সমাজসচেতন ভাষ্যকার, সামাজিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ সংগঠক ছিলেন।