অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

চট্টগ্রামে নতুন ১৬ জন করোনায় আক্রান্ত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: ০১:৪৪ পিএম, ৯ অক্টোবর ২০২২ রোববার  

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১৬ জনের দেহে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তের হার ১৮ দশমিক ৮২ শতাংশ। করোনা সংক্রান্ত জেলার হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো আজকের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর আট ল্যাবরেটরিতে গতকাল ৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন আক্রান্ত ১৬ জনই শহরের বাসিন্দা। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ২৯ হাজার ১৪৯ জনে। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯৪ হাজার ১৭০ জন এবং গ্রামের ৩৪ হাজার ৯৭৯ জন। করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৭ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭৩৭ জন ও গ্রামের ৬৩০ জন।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে গতকাল ২৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে শহরের ৭ জনের শরীরে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে।

বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২ জন ভাইরাসবাহক শনাক্ত হন। ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ১৪ নমুনায় ৩ টির রেজাল্ট পজিটিভ আসে। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে পরীক্ষিত ৫ নমুনার একটিতে জীবাণু মিলে। এপিক হেলথ কেয়ারে ৮ জনের নমুনায় ২ জনের দেহে সংক্রমণ চিহ্নিত হয়। মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ৪ নমুনা পরীক্ষায় একটি আক্রান্ত পাওয়া যায়। এছাড়া, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৯, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ৯ ও এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সবগুলোরই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।

এদিন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা), আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ও ল্যাব এইডে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। নমুনা সংগ্রহের কোনো কেন্দ্রে এন্টিজেন টেস্ট হয়নি।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ৩০ দশমিক ৪৩ শতাংশ, শেভরনে ২২ দশমিক ২২, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২১ দশমিক ৪৩, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ২০, এপিক হেলথ কেয়ার ও মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ২৫ শতাংশ এবং আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।