অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

‘ফুটবলারদের লাগেজ ভাঙা, টাকা চুরির প্রমাণ মেলেনি’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৩:১৭ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার  

সিসি টিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে নারী ফুটবলারদের লাগেজ ভাঙা ও টাকা চুরির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সংবাদমাধ্যমকে এ কথা বলেন তিনি।

কামরুল ইসলাম বলেন, বিমানের ল্যান্ডিং এরিয়া, ব্যাগেজ মেকআপ এরিয়ায় ট্রলির আগমন, ব্যাগেজ মেকআপ এরিয়ার প্রথম লাগেজ ড্রপ, বেল্ট নম্বর ৮-এ লাগেজ আসা, ব্যাগেজ মেকআপ এরিয়ায় সর্বশেষ লাগেজ আসা পর্যন্ত পাঁচটি এরিয়ার সিসিটিভ ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এসব ফুটেজ বিশ্লেষণ করে লাগেজ ভাঙা, চুরির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কর্মকর্তা ইমরানকে অক্ষতভাবে লাগেজ হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে আরটিভি নিউজকে সাফজয়ী দলের একজন খেলোয়াড় বলেন, আমরা বিমান থেকে নেমে সোজা ভিআইপি লাউঞ্জে চলে আসি। সেখান থেকে বাসে উঠে বাফুফে ভবনে যাই। উদযাপন করার পর রাতে দেখতে পাই যে কৃষ্ণা রানী, সানজিদা ও শামসুন্নাহার সিনিয়রের ব্যাগ থেকে প্রায় দুই লাখ টাকা ও মূল্যবান সামগ্রী চুরি হয়েছে। ওই সময় বেশ কয়েকজনের ব্যাগের জিপ খোলা ছিল।

বুধবার বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে সাবিনারা প্রবেশ করলে কেক কেটে ও ফুল দিয়ে তাদের বরণ করে নেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, যুব ও ক্রীড়াসচিব এবং মন্ত্রণালয় ও বাফুফে কর্মকর্তারা।

সেখান থেকে বের হয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন বাংলাদেশ জাতীয় নারী দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। ট্রফি উঁচিয়ে ধরে সাবিনা বলেন, এই ট্রফি বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের। সবাইকে ধন্যবাদ, আমাদের এত সুন্দরভাবে বরণ করে নেওয়ার জন্য। আমরা কৃতজ্ঞ। যদি চার-পাঁচ বছরের পরিশ্রম দেখেন, তাহলে দেখবেন সেটার ফল এখন হাতে আছে।

এরপর বিআরটিসির ছাদখোলা বাসে করে উদযাপন করতে করতে বাফুফের পথে যাত্রা শুরু করে সানজিদা আক্তাররা। বিমানবন্দর থেকে কাকলী, জাহাঙ্গীর গেট, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, তেজগাঁও, মৌচাক, কাকরাইল হয়ে বাফুফে ভবনে যায় বাসটি। সেখানে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন আরেক দফা দলকে বরণ করেন।

উল্লেখ্য, গত সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দশরথের রঙ্গশালায় ফাইনালে কৃষ্ণা রানী সরকারের দুই ও শামসুন্নাহার জুনিয়রের এক গোলে স্বাগতিক নেপালকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা জেতে বাংলাদেশ। পুরো টুর্নামেন্টে ২৩ গোল করেছেন বাংলাদেশের মেয়েরা।