অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ছাদখোলা বাসে চ্যাম্পিয়ন মেয়েদের আনন্দযাত্রা

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৩:৫৮ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ বুধবার   আপডেট: ০৫:৩৬ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ বুধবার

দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট নিয়ে বুধবার দুপুরে বাংলাদেশে পা রেখেছে নারীরা। তাদের বহনকারী বিমান দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে হজরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখানে ক্রীড়ামন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও বাফুফে প্রতিনিধিরা ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।

ছাদখোলা বাসে আনন্দযাত্রার আগে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সামনে আসেন সাবিনা খাতুন। ট্রফি উঁচিয়ে ধরে আনন্দ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের এভাবে বরণ করে  নেওয়ার জন্য। এই ট্রফি আমাদের দেশের জনগণের জন্য। শেষ চার বছরে আমাদের যে সাফল্য আছে, সবকিছু এর মধ্যে।’

প্রথমেই আমি কৃতজ্ঞতা জানাই, ‘আমাদের মেয়েদের জন্য আজকের এই রাজকীয় আয়োজন করায়। মাননীয় ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী, বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমাদের এই পথচলা আসলে অনেক দিনের। ২০১২ সালে এই পরিবর্তন শুরু করেছিলেন আমাদের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ, পরে তা রূপ দেন কাজী সালাউদ্দিন। সেটার প্রেক্ষিতেই আজ আমাদের এই অর্জন।’  

বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ছাদখোলা বাসে করে বাফুফের পথে রওনা হয় দল। বিমানবন্দরের বাইরে ব্যান্ড বাজিয়ে তাদের বরণ করা হয়।  

মেয়েদের এই অর্জনকে সবাই বলছে দেশের জয়। তাই তো তাদের বরণ করে নিতে বিমানবন্দরে হাজির শতশত সমর্থক, শুভাকাঙ্খীরা। হাজির হয়েছেন তাদের আইডল মেনে ফুটবলে পা লেখানো একাধিক কিশোরী। কেউ এসেছেন ফুল নিয়ে। কেউ বাংলাদেশের পতাকা গায়ে জড়িয়ে। ক্রিকেট মাঠে সদা উপস্থিত হওয়া টাইগার শোয়েবও বিমানবন্দরে হাজির মেয়েদের সমর্থন জুগাতে।    

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বিজয়ী মেয়েদের জন্য ছাদখোলা বাসের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। সেই বাসেই চড়ে চ্যাম্পিয়নরা বিমানবন্দর থেকে বনানী, মহাখালী হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে দিয়ে বিজয় স্মরণী উড়ালসেতু দিয়ে বাঁয়ে চলে যাবে। তেজগাঁও, কাকরাইল, ফকিরাপুল, আরামবাগ হয়ে ফুটবলাররা পৌঁছাবেন বাফুফে ভবনে। দীর্ঘ এ যাত্রাপথে সাবিনাদের জন্য রাস্তার দুই পাশে থাকবেন সাধারণ মানুষ। যাদের প্রাণভরা ভালোবসায় সিক্ত হবেন সাফের চ্যাম্পিয়নরা।

হিমালয়ের দেশ নেপালে বাংলাদেশ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে জিতেছে সাফের শিরোপা। নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে অদম্য নারীরা দেশকে ভাসিয়েছে আনন্দ, উল্লাসে। কণ্টকাকীর্ণ পথ পেরিয়ে তারা উড়িয়েছে দেশের পতাকা। আজ তাদের ওড়ার দিন।