কামাল মজুমদার, ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে বিএনপির মামলা খারিজ
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০৩:১২ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার আপডেট: ০৩:১৩ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার
মিরপুরে বিএনপির সমাবেশে হামলা, ফাইল ছবি
আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার ও সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাসহ আওয়ামী লীগের ২০ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিএনপির দায়ের করা মামলার আবেদন খারিজের আদশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে খারিজের আদেশ দেন।
এর আগে সকালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ঢাকা উত্তরের নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণভাবে সমবেশে হামলার অভিযোগে এ মামলার আবেদন করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক ফারুকী।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আগা খা মিন্টু, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, ঢাকার মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ মান্নান কচি, ঢাকার মহানগর উত্তর যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, ঢাকার মহানগর উত্তর যুব লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকতাইজুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পি, ঢাকার মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ইসহাক মিয়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বের চৌধারী, রুপনগর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী রজ্জব হোসেন, সিনিয়র সহসভাপতি হাজী তোফাজ্জল হোসেন টেনু, রুপনগর থানা যুবলীগের সভাপতি জাকির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. খোকন, ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা কেশেম মোল্লা, সাবেক মহিলা সংসদ সদস্য তুহিন, মিরপুর থানা আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মান্নান, মিরপুর থানা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন লিটু, সাধারণ সম্পাদক সালা উদ্দিন রবিন, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিম ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কোষাধক্ষ্য সালাম চৌধুরী। এছাড়া মামলায় ৪০০/৫০০ জন অজ্ঞাত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী আসামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগ থেকে জানা যায় , জ্বালানী তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি এবং পুলিশের গুলিতে দলীয় ৩ (তিন) নেতা নিহত হওয়ার প্রতিবাদে বিগত ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি কর্তৃক পল্লবী থানাধীন মিরপুর-৬, কাঁচা বাজারের সামনে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ সমাবেশ শুরু হলে আসামীগণের প্রত্যক্ষ নির্দেশে এবং উপস্থিতিতে উক্ত শান্তিপূর্ণ সমাবেশে আসামিরাসহ অজ্ঞাতনামা ৪০০/৫০০ আসামি অবৈধভাবে লাঠি সোটা, অস্ত্র- শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
একপর্যায়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করিতে থাকেন। আসামিদের হামলায় অধ্যশতাধিক নেতাকর্মী রক্তাক্ত জখম হয়। এছাড়া ওই সময় মহিলা দলের নেতাকর্মীদের গালিগালাজ ও শ্লীলতাহানি করেন।