অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

মায়ের কবরের পাশে শায়িত হবেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার

এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৩:০২ পিএম, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ রোববার  

রাজধানীর বনানী কবরস্থানে সমাহিত করা হবে প্রয়াত গীতিকার, চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মরদেহ। সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সেখানে মায়ের কবরের পাশে সমাহিত করা হবে তাকে।

এর আগে সোমবার বেলা ১১টায় প্রথমে প্রখ্যাত এই গীতিকারের মরদেহ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হবে। তারপর নেওয়া হবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি)। সেখানে গাজী মাজহারুল আনোয়ারের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

রোববার (০৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান গাজী মাজহারুল আনোয়ারের ছেলে সরফরাজ আনোয়ার উপল।

এর আগে রোববার (০৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মৃত্যু হয়েছে।  তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশের শোবিজ অঙ্গনে।  

দীর্ঘ ৬০ বছর ধরে বেতার, টেলিভিশন, সিনেমাসহ বিভিন্ন মাধ্যমে কয়েক হাজার গান রচনা করেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। তার লেখা কালজয়ী গানও অসংখ্য। গীতিকবিতায় অবদান রাখার জন্য ২০০২ সালে একুশে পদক লাভ করেন তিনি। গত বছর পেয়েছেন স্বাধীনতা পদক। এছাড়া পাঁচবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

বিবিসি বাংলা তৈরি করা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বিশটি বাংলা গানের তালিকায় ঠাঁই পায় গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখা তিনটি। তার লেখা কিছু কালজয়ী গান হলো-‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’, ‘আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার’, ‘একতারা তুই দেশের কথা বল রে এবার বল’, ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়’, ‘গানের খাতায় স্বরলিপি লিখে’, ‘আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল’, ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’, ‘ও পাখি তোর যন্ত্রণা’, ‘ইশারায় শীষ দিয়ে’, ‘চোখের নজর এমনি কইরা’, ‘এই মন তোমাকে দিলাম’, ‘চলে আমার সাইকেল হাওয়ার বেগে’ প্রভৃতি।

উল্লেখ্য, গাজী মাজহারুল আনোয়ারের জন্ম ১৯৪৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার তালেশ্বর গ্রামে। ১৯৬৪ সাল থেকে তিনি তৎকালীন রেডিও পাকিস্তানে গান লেখা শুরু করেন। তার গানে উঠে এসেছে মুক্তিযুদ্ধ, দেশপ্রেম, প্রকৃতি, জীবনবোধ, প্রেম, বিরহ, স্নেহ’সহ আরও নানা প্রসঙ্গ।