অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

নিউইয়র্কে সেমিনার

যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনে আইনি সেবা বাড়াতে চান বাংলাদেশি-আমেরিকান আইনজীবীরা

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৪:১৯ এএম, ৩০ আগস্ট ২০২২ মঙ্গলবার   আপডেট: ০৪:৪২ এএম, ৩০ আগস্ট ২০২২ মঙ্গলবার

বর্তমান সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি কমিউনিটির ব্যবসা এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ক্রমেই বাড়ছে। তবে কমিউনিটির এই স্রোতের সাথে তাল মিলিয়ে সেবার গুণগত মান সব ক্ষেত্রে সেভাবে বাড়ছে না। সেবাপ্রার্থীরা সঠিক তথ্য ও তথ্য প্রয়োগের জন্য নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান সহজেই খুঁজে পাচ্ছেন না।

এমন সব মতামত দিয়ে সম্প্রতি নিউইয়র্কে একটি বিজনেস ইমিগ্রেশন সেমিনারের বক্তারা বলেছেন, এই সেবার মান বাড়ানোই হওয়া উচিত এখন বাংলাদেশি কমিউনিটির সকল ব্যবসায়ী কর্মকাণ্ডের অঙ্গিকার। 

বাংলাদেশ-আমেরিকান বার এসোসিয়েশন (বাবা)-এর উদ্যোগে সেমিনারটি আয়োজিত হয় গত ২৩ আগস্ট নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের একটি মিলনায়তনে। 

এটি ছিলো অ্যাসোসিয়েশেনর পক্ষ আয়োজিত বিজনেস ইমিগ্রেশন সেমিনার ২০২২। রাজু ল', আই কন্সালট্যান্সি এবং এ এইচ ল' ফার্মের যৌথ সহযোগিতায় সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। 

সেমিনারে বক্তব্য রাখেন রাজু ল’র কর্ণধার শিক্ষা ও ফ্যামিলি অভিবাসন বিশেষজ্ঞ অ্যার্টনি রাজু মহাজন এবং আই-কনসালটেন্সির পরিচালক অভিবাসন বিশেষজ্ঞ সারোয়ার হোসেইন এবং প্রতিষ্ঠানটির প্রধান উপদেষ্টা ও অভিবাসন আইন বিশেষজ্ঞ জাহিদ হোসেইন। 

সেমিনারের সূচনা করেন সারোয়ার হোসেইন। তিনি সেমিনারটির লক্ষ্য হিসাবে জানান, নিউইয়র্কে বাংলাদেশি কমিউনিটি ক্রমেই বড় হচ্ছে। এই কমিউনিটিতে পেশাদার অভিবাসন উপদেষ্টা, পরামর্শদাতা, সংস্থা-অফিস বা ব্যক্তির সংখ্যা সেই তুলনায় কম। ফলে কমিউনিটিতে আসা নতুন সদস্যরা অনেক সময়ে পেশাদার নন এমন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে গিয়ে ভুল পরামর্শ এবং সেবার দ্বারা প্রতারিত হচ্ছেন। তাদের অভিবাসনের সময় যেসব সুযোগ সুবিধাগুলো তারা নিতে পারতেন সেগুলো থেকেও তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। সারোয়ার হোসেইন জানান, যাতে কমিউনিটিতে একটি অভিজ্ঞ এবং পেশাদার অভিবাসন বিষয়ক সেবা সংস্থা গঠন করা যায় সেই লক্ষ্যেই তারা কাজ করছেন। 

আলোচনার মূল বক্তা হি অ্যার্টনি রাজু মাহাজন একটি চমৎকার তথ্যবহুল উপস্থাপনা প্রজেক্টেরের মাধ্যমে এবং তার নিজের অসাধারন প্রকাশভঙ্গিতে তুলে ধরেন অভিবাসনের আইনি প্রক্রিয়ার বিভিন্ন দিক।  ।

শিক্ষার্থীদের জন্য ওপিটি, অন্য অভিবাসন প্রত্যাশীদের জন্য এইচ ওয়ান, ই বি ওয়ান, ই বি টু, ই বি ৩, এবং ই বি ৫" ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন রাজু মহাজন। তিনি বলেন, স্রেফ ভুল তথ্যের কারণে এবং সঠিক পরামর্শকের কাছে না পৌঁছার কারণে অনেকেই অভিবাসন সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের জটিলতায় পড়তে হয়। এতে তাদের সময় ও অর্থ দুটোই নষ্ট হয়। একটি সঠিক পরামর্শ ও সেবা কেন্দ্র সে কারণেই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। 

অভিবাসী প্রত্যাশীদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে আলোকপাত করেন আই-কন্সালটেন্সির প্রধান উপদেষ্টা জাহিদ হোসেইন। তিনি বলেন, আমেরিকান অভিবাসন আইন অনেক বিস্তৃত এবং এর সঠিক জ্ঞান ও প্রয়োগের  মাধ্যমে বাংলাদেশি কমিউনিটি বিশেষভাবে উপকৃত হতে পারে। এজন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেবাদানের মনোভাব, অভিজ্ঞতা, আস্থা  এবং বিশ্বাস, যা প্রদানের জন্য তিনি ও তার আই কন্সাল্টেন্সি দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে বাংলাদেশি কমিউনিটি যাতে মাথা উঁচু করে দেশ ও জাতির ভাবমূর্তি বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে পারে সে প্রত্যয় নিয়ে তারা অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে জাহিদ হোসেইন বলেন, এই সেমিনার তারই একটি উজ্জ্বলতম দৃষ্টান্ত। তিনি অভিবাসন আইনের মাধ্যমে অ্যাসাইলাম, ইনভেস্টমেন্ট এবং দক্ষ কর্মী নিয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।