অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

লঞ্চ ভাড়া বাড়লো ৩০ শতাংশ, আজ থেকে কার্যকর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১১:৪০ এএম, ১৬ আগস্ট ২০২২ মঙ্গলবার   আপডেট: ১১:৫৭ এএম, ১৬ আগস্ট ২০২২ মঙ্গলবার

জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে লঞ্চের ভাড়া বাড়ানোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নৌযানের যাত্রীভাড়া ৩০ শতাংশ সমন্বয় (বৃদ্ধি) করে পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।  একজন যাত্রীর লঞ্চ ভাড়া কম দূরত্বে প্রতি কিলোমিটারে ৭০ পয়সা ও বেশি দূরত্বে ৬০ পয়সা বেড়েছে। কম দূরত্বে লঞ্চের ভাড়া ৩০ দশমিক ৪৩ শতাংশ ও বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের টিএ শাখা।  রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব মোহা. আমিনুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আজ মঙ্গলবার থেকেই নতুন সমন্বয়কৃত ভাড়া কার্যকর হবে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন (নৌরুট, পারমিট, সময়সূচি ও ভাড়া নির্ধারণ) বিধিমালা, ২০১৯ এর বিধি ২৭ মোতাবেক সরকার নৌযানে যাত্রী পরিবহনের জন্য কিলোমিটার প্রতি সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন যাত্রী ভাড়া পুনর্নির্ধারণের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির সুপারিশের আলোকে বিআইডব্লিউটিএ’র প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে যাত্রীভাড়া পুনর্নির্ধারণ করা হলো।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, প্রথম ১০০ কিলোমিটার দূরত্বের জন্য সমন্বয় করে প্রতি কিলোমিটারে জনপ্রতি যাত্রী ভাড়া ২ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৭০ পয়সা বাড়িয়ে ৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরপরের দূরত্বের জন্য প্রতি কিলোমিটারে জনপ্রতি যাত্রী ভাড়া ২ টাকা থেকে ৬০ পয়সা বাড়িয়ে ২ টাকা ৬০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে নৌযানে জনপ্রতি সর্বনিম্ন ভাড়া ২৫ টাকা থেকে ৮ টাকা বাড়িয়ে ৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় সরকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে গণপরিবহনের মালিক-শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকের পর ৬ আগস্ট রাতে বাস ভাড়া বাড়ানোর ঘোষণা দেয় বিআরটিএ। সেসময় লঞ্চ মালিকদের পক্ষ থেকে ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। মালিকপক্ষ থেকে ভাড়া দ্বিগুণ করার প্রস্তাব দিয়ে নৌ-মন্ত্রণালয়ে তারা চিঠি পাঠালে একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়। তবে মালিকদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর সবশেষ ৩০ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলো সরকার।

গতকাল বিআইডব্লিউটিএ-র একটি সূত্র জানায়, লঞ্চ ভাড়া বাড়ানোর ব্যাপারে রবিবার একটি বৈঠক হয়। তাতে শতভাগ ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব থেকে সরে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধির দাবিতে অবস্থান নেয় মালিকপক্ষ। এ নিয়ে দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার পর ৩০ শতাংশ নির্ধারণ হয়।