অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে গণধর্ষণ, ডাক্তারি পরীক্ষায় আলামত মেলেনি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ০৭:৩৬ পিএম, ৭ আগস্ট ২০২২ রোববার  

টাঙ্গাইলের মধুপুরে আলোচিত ঈগল পরিবহনের চলন্ত বাসে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ডাকাতি ও গণধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া গেছে। পরীক্ষায় হাইভ্যাজাইনাল সোয়াব টেস্ট নেগেটিভ এসেছে। অর্থাৎ, তার নমুনায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি।

রোববার (৭ আগস্ট) দুপুরে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্নকারী ও টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. রেহেনা পারভীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অধিকতর পরীক্ষার জন্য বিভিন্ন আলামত ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তবে ওই নারীর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন থাকায় এটা ধর্ষণ বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. রেহেনা পারভীন নেতৃত্বে পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। পরে শনিবার বিকেলে হাইভ্যাজাইনাল সোয়াপ টেস্টের ফলাফল পাওয়া যায়। তবে গত বৃহস্পতিবার ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় নতুন কোনো আসামিকে গ্রেফতার করা হয়নি। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। পুলিশ ইতোমধ্যে সকল আসামিদের শনাক্ত করেছেন।

এদিকে এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ৩ জন ডাকাত সদস্য আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। শনিবার রাতে দুইজন বিচারক তাদের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। তারা হলেন, টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বল্লা গৌরস্থান এলাকায় মৃত হারুন অর রশীদের ছেলে রাজা মিয়া (৩২), গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের আব্দুল আউয়াল (৩০) এবং কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ধনারচর পশ্চিম পাড়া গ্রামের নুরনবী (২৬)। রাজা মিয়া ও নুরনবী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামছুল আলমের এবং আউয়াল সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রুমি খাতুনের আদালতে জবানবন্দি দেন।

সূত্রে জানা যায়, বাসের নিয়ন্ত্রণ নেয়া রাজা মিয়া আদালতে ওই নারীকে ধর্ষণের দায় স্বীকার করেছে। এ ছাড়া আব্দুল আউয়াল ও নূরনবী ডাকাতির কথা স্বীকার করলেও ধর্ষণের কথা অস্বীকার করেন।