অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলায় মজনুর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৩:১৪ পিএম, ১৯ নভেম্বর ২০২০ বৃহস্পতিবার   আপডেট: ০৫:৪৭ পিএম, ১৯ নভেম্বর ২০২০ বৃহস্পতিবার

রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের মামলায় আসামি মজনুর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। পাশাপাশি  ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ৬ মাসের জেলের কথা বলা হয়েছে রায়ে।  আদালত কক্ষে মজনুর তুমুল হট্টগোল ও অশোভন আচরণ করায় বিচারক রুদ্ধদ্বার কক্ষে রায় ঘোষণা করতে বাধ্য হন। যা দেশের বিচার ইতাহাসে বিরল ঘটনা।

বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোসা. কামরুন্নাহার এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় একমাত্র আসামি মজনুকে আদালতে উপস্থিত করা হয়। তাকে হাজির করার পর থেকেই ছেড়ে দেয়ার জন্য আর্জি জানাতে থাকেন। সেই আর্জি এক পর্যায়ে হট্টগোলে পরিণত হয়। বাধ্য হয়ে রুদ্ধদ্বার কক্ষে রায় ঘোষণা করেন বিচারক। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন বিচারক। 

** পুলিশের হাতে কামড় ধর্ষক মজনুর, আদালতে বেপরোয়া, রুদ্ধদ্বার রায়

গত ৫ নভেম্বর  ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোসা. কামরুন্নাহার তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেন। এরপর গত ১২ নভেম্বর মামলাটির রাষ্ট ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণার জন্য তারিখ ঠিক করেন। মামলাটিতে ২৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ করেছেন  ট্রাইব্যুনাল। 

গত ১৬ মার্চ মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আবু সিদ্দিক সিএমএম আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় চার্জশিট জমা দেন। এরপর ২৬ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক আসামি মজনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন। 

একনজরে মামলা-
১৬ মার্চ মামলায় মজনুর বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ
২৬ আগস্ট  আদালত অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করে
বিচার হয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এ
৫ নভেম্বর মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়
অভিযোগপত্রের ২৪ সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়
১২ নভেম্বর রাষ্ট ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়


ঘটনা-
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে তার বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে রওনা করেন ওই শিক্ষার্থী। সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাসটি ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে থামে। বাস থেকে নেমে ওই শিক্ষার্থী ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় ভিকটিমকে ফুটপাতের পাশের ঝোঁপে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। পরে র‌্যাব অভিযান চালিয়ে মজনুকে গ্রেপ্তার করে। আসামি এই মজনু বর্তমানে কারাগারেই ছিলেন।