অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

স্টার সিনেপ্লেক্সে একদিনে হলিউডের ২ ছবি

এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০১:৫১ পিএম, ১৯ নভেম্বর ২০২০ বৃহস্পতিবার   আপডেট: ০৪:০৫ পিএম, ১৯ নভেম্বর ২০২০ বৃহস্পতিবার

আগামী ২০ নভেম্বর একসঙ্গে দু’টি হলিউডের ছবি মুক্তি পাচ্ছে স্টার সিনেপ্লেক্সে। ছবি দু’টি হলো ‘ফোর্স অব ন্যাচার’ ও ‘দ্য রেন্টাল’। মাইকেল পলিশ পরিচালিত অ্যাকশন ছবি ‘ফোর্স অব ন্যাচার’-এ অভিনয় করেছেন মেল গিবসন, কেট বসওয়ার্থ, এমিলি হার্শ, ডেভিড যায়াস। আর ডেভ ফ্রাঙ্কো পরিচালিত থ্রিলার ছবি ‘দ্য রেন্টাল’-এ অভিনয় করেছেন ড্যান স্টিভেন্স, অ্যালিসন ব্রি, জেরেমি অ্যালেন হোয়াইট, টবি হাজসহ আরও অনেকে।  

ফোর্স অব ন্যাচার
প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় হারিকেন চলাকালীন একটি ভবনের লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন নিরাপত্তা বাহিনী। ওই সময় সেখানে ডাকাতি করতে যায় একদল ডাকাত। তাদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি আক্রমণ এবং রুদ্ধশ্বাস উদ্ধার অভিযানের গল্প নিয়ে আবর্তিত হয়েছে ‘ফোর্স অব ন্যাচার’-এর কাহিনী। 

পুয়ের্তো রিকোর দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়। শহরের বিভিন্ন ভবন থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। ডাকাত জন ব্যাপটিস্ট এক বৃদ্ধা এবং তার সহকর্মীকে হত্যার আগে একটি ঠিকানা পেয়ে যান। ইতোমধ্যে পুড়ে যাওয়া পুলিশ অফিসার কার্ডিলো নীচু ডেস্ক কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করার কথা জানান। আরেকজন কর্মকর্তা জেস পেনার সঙ্গে বেরিয়ে যেতে চান। 

কেউ তাদের বাড়িঘর আশ্রয়ে যেতে অস্বীকার করলে তাকে সরিয়ে নেয়ার কথা বলা হয়। কার্ডিলো খুব বিপর্যস্ত। তিনি কাউকে সাহায্য করতে চান না। কিন্তু তার নতুন পার্টনার তাকে প্ররোচিত করেন। এদিকে, গ্রিফিন বাজারে ১০০ পাউন্ড মাংস কেনেন। শুধু তাই নয়, বাজারের সব মাংস কিনে নিতে চান তিনি। 

অন্যদিকে, আরেক গ্রাহক মাংস কেনার জন্য রীতিমতো লড়াই করে পান না। নিরাপত্তারক্ষীরা গ্রিফিনকে আটক করেন। পরে তিনি জানান, তার পোষা প্রাণির জন্য মাংসের প্রয়োজন। অফিসাররা তাকে সরিয়ে নিয়ে যেতে চান। তবে জোর করেন গ্রিফিন। পোষা বিড়ালকে খাওয়ানো দরকার বলে জানান এবং বলেন, তার অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে একজন বৃদ্ধ এবং একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার রয়েছেন। তারা সরে যেতে অস্বীকার করছেন। 

অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসারকে সরিয়ে নেয়ার প্রয়োজনে তাদের অ্যাপার্টমেন্টে নিয়ে যেতে রাজি হন গ্রিফিন। যাতে তিনি পোষা প্রাণিকে খাওয়াতে পারেন এবং ভবনের সবাইকে সরানো যায়। অবসরপ্রাপ্ত অফিসার রায়কে সরিয়ে নেয়ার জন্য গেলে তিনি যেতে অস্বীকার করেন। তার মেয়ে ট্রয় সেখানে আছে এবং একজন ডাক্তারও আছে। 

রায় আশঙ্কা করছেন, বিদ্যুৎ চলে গেলে হাসপাতালের ডায়ালাইসিস মেশিন কাজ করবে না। জানান, তিনি এক বছর আগে পুলিশ সম্পর্কিত একটি ঘটনা থেকে কার্ডিলোকে চেনেন। কার্ডিলো ট্রয়কে নিচে বৃদ্ধের অ্যাপার্টমেন্টে নিয়ে যান। জানতে পারেন তার নাম পল বার্গ ক্যাম্প। যিনি নিজের বাড়ি ছেড়ে যেতে অস্বীকার করছেন। 

বার্গ ক্যাম্পকে সরিয়ে নেয়ার জন্য বোঝানোর চেষ্টা করার সময় কার্ডিলো প্রত্যক্ষ করেন, বিল্ডিং সুপারিনটেনডেন্ট জন একজনকে গুলি করে হত্যা করেন। ট্রয় ও বার্গ ক্যাম্প গ্রিফিনের অ্যাপার্টমেন্টে সিঁড়ি দিয়ে যাওয়ার জন্য পথ পেয়ে যান। এরপর চলতে থাকে রুদ্ধশ্বাস অবস্থা। 

একদিকে ঝড়ের তীব্রতা বাড়ছে, অন্যদিকে ডাকাতদের আক্রমণ। পুলিশ কি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিবে নাকি ডাকাতদের মোকাবেলা করবে?

দ্য রেন্টাল
চার্লি ও তার স্ত্রী মিশেল, ভাই যশ এবং ব্যবসায়িক পার্টনার মিনা সাপ্তাহিক ছুটি কাটাতে সমুদ্র তীরবর্তী একটি বাড়ি ভাড়া নেন। বিচ্ছিন্ন জায়গাটায় আশেপাশে আর কোনও বাড়িঘর নেই। বাড়ির কেয়ারটেকার টেইলর রূঢ় স্বভাবের। মিনাকে দেখে এমন মন্তব্য করেন যা খুব বিরক্তিকর। টেইলর যাওয়ার পর মিনা, যশ, চার্লি উপরে যান। আর মিশেল ঘুমাতে যান। 

যশ আলাদা হওয়ার পর চার্লি ও মিনা একসঙ্গে শাওয়ারে যান এবং শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। যশ মিশেলকে জানান, চার্লি এর আগেও অনেক মেয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক করেছেন এবং প্রতারণা করেছেন। এতে চার্লির প্রতি সন্দেহ তৈরি হয় মিশেলের। পরদিন সকালে মিনা এবং চার্লি একে অন্যকে কথা দেয় তারা আর ঘনিষ্ঠ হবে না। 

এদিকে, বাথরুমের উপরে একটি ছোট ক্যামেরা আবিস্কার করেন মিনা এবং চার্লিকে বিষয়টা জানান। দু’জনেই মনে করেন, কেয়ারটেকার টেইলর ক্যামেরাটা বসিয়েছেন এবং তাদের ঘনিষ্ঠতার দৃশ্যধারণ করেছেন। মিনা পুলিশকে জানাতে চাইলে চার্লি তাকে থামায়। পুলিশ তদন্ত করতে আসলে মিশেল এবং যশ তাদের গোপন ফুটেজ দেখে ফেলবে তাই জানাতে চান না। 

পরদিন সকালে তারা সেখান থেকে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। রাতে মিনা ব্যক্তিগতভাবে টেইলরের সঙ্গে ক্যামেরার বিষয়ে কথা বলেন। টেইলর অস্বীকার করেন এবং তিনি পুলিশকে বিষয়টা জানাতে চান। মিনা তাকে থামাতে চেষ্টা করেন। হঠাৎ যশ এসে মিনাকে টেইলর আক্রমণ করেছে ভেবে তাকে মেরে আহত করেন। পরে ক্যামেরার বিষয়টা সবাইকে জানিয়ে দেন মিনা। 

এরই মধ্যে মুখোশধারী একজন ভেতরে এসে টেইলরকে খুন করে চলে যান। সবাই ভেবেছিলেন, দুর্ঘটনাক্রমে যশ খুনটা করেছেন। মিশেল পুলিশকে খবর দিতে চান। কিন্তু চার্লি চান না তার ভাই কারাগারে যাক। টেইলরের লাশটা গোপনে সমুদ্রে ফেলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। 

এদিকে, চার্লি ও মিনার গোপন ভিডিওটি টেলিভিশনে দেখেন মিশেল। চলে যাওয়ার জন্য বের হয়ে গেলে চার্লি এসে তাকে থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু পারেন না। মিশেলের ফোন থেকে একটা মেসেজ পেয়ে তাকে খুঁজতে বের হন চার্লি। পথে মিশেলের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। 

যশ ও মিনা তখন ভিডিও ফুটেজটি ধ্বংস করার চেষ্টা করেন। এসময় যশ কারো আওয়াজ শুনতে পেয়ে বাইরে যান। যেতে না যেতেই কেউ একজন ধাক্কা দিয়ে ফেলে খুন করে তাকে। কে এই খুনি? কি তার রহস্য? এই রহস্যের জাল ছিন্ন করার ভয়ানক কাহিনী নিয়েই নির্মিত হয়েছে ‘দ্য রেন্টাল’।