অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেপ্তার সেলিমের মুক্তি চাইলেন রুশ স্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৪:৩৭ পিএম, ৩ আগস্ট ২০২২ বুধবার  

অনলাইনে ক্যাসিনো ব্যবসার অভিযোগে গ্রেপ্তার সেলিম প্রধানের সঙ্গে দেখা করতে ঢাকায় এসেছেন তার রাশিয়ান স্ত্রী আনা প্রধান। আদালতে স্বামীর সঙ্গে দেখাও করেছেন তিনি। চেয়েছেন স্বামীর মুক্তি।

বুধবার (৩ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে তিনি কথা বলেন।

এদিন অবৈধ সম্পদ ও মানিলন্ডারিং আইনের মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। সেলিম প্রধানকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে আসেন আনা প্রধানও। এরপর আদালতের অনুমতি নিয়ে এজলাস কক্ষে রুশ স্ত্রীর সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলেন সেলিম প্রধান।

পরে সেলিম প্রধানের রুশ স্ত্রী আনা প্রধান বলেন, ‘আমি তিনদিন আগে এসেছি। এখন দেশে থাকবো। আমাদের সন্তান আছে। আমার স্বামীর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা সত্য নয়। আমি আমার স্বামীর মুক্তি চাইছি। আইনের মধ্যে থেকে ন্যায়বিচার চাইছি।’

এদিকে এদিন রেজাউল করিম নামে একজন ব্যাংকার এই মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দেন। মোট ৩৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। মামলায় তার বিরুদ্ধে ১২ কোটি ২৭ লাখ ৯৫ হাজার ৭৫৪ টাকা অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।

গত বছর ১৭ জানুয়ারি মামলাটি তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদকের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান। চার্জশিটে ৫৭ কোটি ৭৯ লাখ ২৮৮ টাকার জ্ঞাতআয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জন এবং ২১ কোটি ৯৯ লাখ ৫১ হাজার ১৪৫ হাজার টাকা থাইল্যান্ড ও ইউএসএতে পাচারের অভিযোগ আনা হয়।

গত বছর ৩১ অক্টোবর সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত।

এর আগে সেলিম প্রধানকে ২০১৯ সালেল ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করে র্যা ব-১। এরপর তার গুলশান, বনানীর বাসা ও অফিসে অভিযান চালানো হয়।  অভিযানে নগদ ২৯ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়। একই সঙ্গে হরিণের চামড়া পাওয়া যায়। ওইদিনই সেলিম প্রধানকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালত ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠান। পরদিন গুলশান থানায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও মানিলন্ডারিং আইনে দুটি মামলা করে র্যা ব। ওই মামলাগুলোয় তাকে কয়েক দফা রিমান্ডে নেওয়া হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে দুদক মামলা করে। এ মামলায়ও তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।