অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

সাংবাদিক সোহানা তুলির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৬:৫৮ পিএম, ১৩ জুলাই ২০২২ বুধবার   আপডেট: ০৬:৫৯ পিএম, ১৩ জুলাই ২০২২ বুধবার

সোহানা পারভিন তুলি। ফাইল ছবি

সোহানা পারভিন তুলি। ফাইল ছবি

বাংলা ট্রিবিউনের সাবেক সাংবাদিক সোহানা পারভিন তুলির (৩৮) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১৩ জুলাই) রাজধানীর রায়েরবাজারে ভাড়া বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

সোহানা তুলির বাড়ি যশোর সদরের বটতলা এলাকায়। তিনি রায়েরবাজারের শেরেবাংলানগর রোডের বাসায় ২০১৮ সাল থেকে ভাড়ায় থাকতেন।

হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনাস্থল রায়ের বাজারের শেরেবাংলা নগর রোডের ২৯৯/৫ বাসার দ্বিতীয় তলা। সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট আলামত জব্দের কাজ শুরু করেছে।

পুলিশ বলছে— এটি আত্মহত্যা হতে পারে। তবে তদন্তের আগে বিস্তারিত কিছুই বলা যাচ্ছে না।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সোহানা তুলি সাংবাদিকতা ছেড়ে মনোহর নামে একটি অনলাইন শপ খুলে সেখানে মসলা জাতীয় পণ্য বিক্রি করতেন।

এই ব্যবসা নিয়ে কোনো ঘটনাও ঘটে থাকতে পারে বলে পরিবারের ধারণা।

সোহানা তুলির মর্মান্তিক মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বাংলা ট্রিবিউনের সহকর্মীরা। মরদেহ দেখে তাদের দাবি— এটি আত্মহত্যা হতে পারে না। হয়ত কেউ তাকে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখতে পারেন। কারণ তুলির মরদেহ হাঁটুগেড়ে ঝুলে ছিল। তবে মরদেহের পাশে একটি টুলও পাওয়া যায়।

সোহানা তুলির ছোটভাই মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল যশোর থেকে ঢাকায় এসে আমি এক বন্ধুর বাসায় উঠি। গতকাল দুপুরে আপুর সঙ্গে কথা হয়েছিল। এরপর আর কথা হয়নি। বুধবার সকালে ঘুম থেকে উঠে আমি খিলক্ষেত গিয়েছিলাম। খিলক্ষেতে থাকা অবস্থায় আব্বু ফোন করে আমাকে ঘটনাটি জানান। এরপর আপুর বাসায় চলে আসি।’

নন্দিতা নামে তুলির এক বান্ধবী বাসায় এসে নক করে তুলির সাড়া পাচ্ছিল না। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হলে পরে কেয়ারটেকারসহ আশেপাশের বাসিন্দারা এসে দেখেন নিজ কক্ষের ভেতর তুলি ঝুলে আছেন।
এরপর হাজারীবাগ থানা পুলিশকে ফোন করে বিষয়টি জানানো হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী সোহানা তুলি। পড়াশোনা শেষে করে সাংবাদিকতা শুরু করেন তিনি।