অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু, যোগ দিয়েছেন ১০ লাখ মুসলিম

অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৫৫ এএম, ৭ জুলাই ২০২২ বৃহস্পতিবার   আপডেট: ১১:৫৭ এএম, ৭ জুলাই ২০২২ বৃহস্পতিবার

লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান সৌদি আরবের মক্কায় পবিত্র মসজিদুল হারাম (কাবা শরিফ) তাওয়াফের মাধ্যমে হজব্রত পালনের কার্যক্রম শুরু করেছেন। এতে দেশি-বিদেশি ১০ লাখ মুসলিম অংশ নিয়েছেন। অনেকেই তীব্র গরম থেকে বাঁচতে বিভিন্ন জায়গায় তাঁবু টানিয়েছেন। কারণ সেখানের তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রিতে পৌঁছেছে। আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) হজযাত্রীরা আরাফার ময়দানে মূল অনুষ্ঠানের আগে গ্র্যান্ড মসজিদ থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে মিনায় যাবেন। অনেকে এরই মধ্যে পৌঁছে গেছেন। বাকিরা আজ সেখানে সমবেত হবেন।

মিনায় হাজিরা ৮ জিলহজ জোহর থেকে ৯ জিলহজ ফজরসহ মোট পাঁচ ওয়াক্ত আদায় করবেন। এরপর শুক্রবার ফজরের নামাজ আদায় করে তারা রওনা দেবেন আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশ্যে।

পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা চলে ৫ দিন ধরে। তার মধ্যে আরাফাতের দিবসকে ধরা হয় মূল হজ হিসেবে। মিনা থেকে শুক্রবার ভোর থেকেই হজযাত্রীরা লাব্বাইক আল্লাহুমা লাব্বাইক ধ্বনিতে আরাফাতের ময়দানে সমবেত হবেন। তাদের সমস্বরে উচ্চারিত ‘লাব্বাইক আল্লাহুমা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত হবে আরাফাতের আকাশ বাতাস। দুপুরে হজের খুৎবা শুনবেন। তারপর এক আযানে হবে জুমা ও আসরের নামাজ। সূর্যাস্তের পর হজযাত্রীরা আরাফাতের ময়দান ত্যাগ করে যাত্রা করবেন মুজদালিফার উদ্দেশ্যে। সেখানে আবার তারা এক আযানে আদায় করবেন মাগরিব ও এশার নামাজ।

তারপর পাথর সংগ্রহ করবেন জামারায় প্রতীকী শয়তানকে নিক্ষেপের জন্য। এদিন রাতে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করবেন তারা। তারপর শনিবার সকালে সূর্যোদয়ের পর পাথর নিক্ষেপ করবেন হজযাত্রীরা। এরপর আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পশু কোরবানি করবেন। কোরবানি করে মাথা মুণ্ডন করবেন। এহরাম খুলে পরবেন সাধারণ পোশাক। আবার কাবাঘর তাওয়াফ করবেন। সাফা-মারওয়ায় সাতবার সাঈ ( চক্কর) দেবেন। এরপর আবার ফিরে যাবেন মিনায়।

সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, হজ উপলক্ষে পবিত্র মক্কা ও মদিনা শহরে ২৩টি হাসপাতাল ও ১৪৭টি হেলথ সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

গত ২০২০ এবং ২০২১ সালে করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারির মধ্যে সীমিত আকারে হজ পালন হয়। তবে এবারের হজের সমাবেশ অনেক বড় তবে করোনা পূর্ববর্তী স্বাভাবিক হজের চেয়ে ছোট। ২০১৯ সালে হজে প্রায় ২৫ লাখ লোকের সমাবেশ হয়েছে। এবার হজ পালন করতে পারছেন সম্পূর্ণ ভ্যাকসিন নেওয়া ১০ লাখ মানুষ। ২০২১ সালে সম্পূর্ণ ভ্যাকসিন নেওয়া মাত্র ৬০ হাজার সৌদি নাগরিক এবং সৌদিতে বসবাসকারী লোকদের হজ পালনের সুযোগ দেওয়া হয়। যা ২০২০ সালের চেয়ে কয়েক হাজার বেশি।