অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

বঞ্চিত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে দেশে ফিরেছিলাম: প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১১:২৬ এএম, ৬ জুলাই ২০২২ বুধবার  

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্যেও একটি লক্ষ্য নিয়ে দেশে ফিরে এসেছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘সেই লক্ষ্য হলো, শোষিত-বঞ্চিত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা। যেন একটা মর্যাদাসম্পন্ন জাতি হিসেবে আমরা মাথা উঁচু করে চলতে পারি। অনেক বাধা এসেছে, কিন্তু আমরা মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’

বুধবার (৬ জুলাই) সকালে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন তিনি।

পরিবারের শহীদ সদস্যদের স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা গণতন্ত্র হত্যা করে মার্শাল ল জারি করেছিল। আমাকে দেশে আসতে দেয়নি। পরে জনগণের সাড়া পেয়ে দেশে আসি। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা ইনডেমনিটি অ্যাক্ট জারি করে সেই বিচার বন্ধ করে দিয়েছিল।’

করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধের প্রভাব মোকাবিলা করেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

তিনি বলেন, আমেরিকা রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, ইউরোপ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে; তার প্রভাবে তেলের দাম বেড়ে যাচ্ছে, সারের দাম বেড়ে যাচ্ছে, খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে, জাহাজ ভাড়া বেড়ে যাচ্ছে। সে প্রভাব সারাবিশ্বের উপর পড়েছে, বাংলাদেশের উপরও পড়েছে। সেগুলো মোকাবিলা করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হচ্ছে। 

করোনা ও যুদ্ধ না হলে আমরা হয়ত আরো এগিয়ে যেতে পারতাম বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এই আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর থেকে উদ্ভাবিত হবে নতুন নতুন আইডিয়া। সেসব আইডিয়াকে বাস্তবায়নে রূপদান করার একটি ক্ষেত্র হবে আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরির মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে এই ইনকিউবেটর ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে আরও যুক্ত আছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।