অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

দালাল প্লাসের সিইও-চেয়ারম্যানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৪:৩৬ পিএম, ৫ জুলাই ২০২২ মঙ্গলবার   আপডেট: ০৪:৪৭ পিএম, ৫ জুলাই ২০২২ মঙ্গলবার

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দালাল প্লাস ডট কমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও), চেয়ারম্যানসহ সাত জনের বিরুদ্ধে ঢাকার এক আদালতে মামলা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট  মো. মোশাররফ হোসেনের আদালতে ৮১ জন ভুক্তভোগীর পক্ষে গ্রাহক মো. আল আমিন তামিম বাদী হয়ে মামলাটির আবেদন জমা দেন।

আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। 

আসামিরা হলেন-প্রতিষ্ঠানটির সিইও এস.এম রাব্বি আল মামুন, চেয়ারম্যান সালেহ উদ্দিন মুরাদ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আজিজুক হক ওরফে সুমন, পরিচালক আবু জুবায়ের হোসেন রাব্বি, অ্যাকাউন্ট অফিসার হাসনাইন খুরশিদ অভি, প্রধান আইটি কর্মকর্তা নাজমুস শাহাদাত ও প্রধান অপারেশন কর্মকর্তা এস.এম বোরহান উদ্দিন রনি। 

মামলায় অভিযোগ করা হয়, অনলাইন প্লাটফর্ম ই-কর্মাসের একটি কোম্পানী দালাল প্লাস ডট কম। যেখানে দৈনন্দিন জীবনের প্রত্যেকটি পণ্য সরবরাহ করা হতো। মানুষ ঘরে বসে সকল পণ্য অর্ডার করে ক্রয়-বিক্রয় করত। এ মামলার ৮১ জন গ্রাহককে ২০২১ সালের ১ এপ্রিল থেকে একই বছরের ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোবাইল, ল্যাপটপ, মটর সাইকেল, ডিএসএলআর ক্যামেরাসহ সকল পণ্য আকর্ষণীয় অফারে আকৃষ্ট করে দালাল প্লাস ডট কম। এতে গ্রাহকরা অফার গ্রহণ করে নির্দিষ্ট সময়ে দুই কোটি ৫০ লাখ ৩৮ হাজার ৯৯৮ টাকা পেমেন্ট করেন। 
 
আরও জানা যায়, পণ্য ডেলিভারির বিষয়ে গ্রাহকদেরকে নির্দিষ্ট সময়ে মোবাইলে এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। অনেক গ্রাহককে ওয়্যার হাউসে গিয়ে পণ্য গ্রহণ করার জন্য এসএমএস দেয়। সেখানে গেলে তাদের কাছ থেকে পণ্য না দিয়েই একটি ভিডিও সাক্ষাৎকার নেয় যে তারা পণ্য পেয়েছে। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা হলো তারা পণ্য না দিয়েই প্রতারনার ফাঁদ পেতে গ্রাহককে ব্ল্যাকমেইল করে গ্রাহকের নিকট থেকে অসাধুভাবে অর্থ আত্মসাৎ করেন। সাক্ষাৎকার শেষ হওয়ার পর গ্রাহকদের হাতে পণ্য না দিয়ে টোকেন ধরিয়ে দিয়ে বলে অফিস থেকে বর্তমান বাজার মূল্যে চেক নিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।  এসময় পণ্য কখন ফেরত দেবে তা জানতে চাইলে স্থানীয় গুন্ডাপান্ডা ও ভাড়া করা ধানমন্ডি ও হাজারীবাগ থানার স্থানীয় লোকজন নিয়ে গ্রাহকদের পিটিয়ে হুমককি ধামকীদি দিয়ে অফিস থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে গ্রাহকরা প্রতারণার শিকার হয়ে থানায় মামলা করতে যায়।