অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

কিংবদন্তি পরিচালক তরুণ মজুমদার মারা গেছেন

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক

প্রকাশিত: ০২:১৯ পিএম, ৪ জুলাই ২০২২ সোমবার  

ওপার বাংলার প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদার আর নেই। স্থানীয় সময় সোমবার (৪ জুলাই) সকালে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।

গত ১৪ জুন কিডনি ও ফুসফুসের সমস্যার কারণে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তরুণ মজুমদারকে। পরিস্থিতি মোটেই ভালো ছিল না। রোববার (৩ জুলাই) মধ্যরাত থেকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। জ্ঞানও ছিল না তার। ডায়ালাইসিস দরকার ছিল। কিন্তু শারীরিক অবস্থার কারণে তা সম্ভব হয়নি। ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল তাকে, সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন বর্ষীয়ান এই পরিচালক।

গত ২২ বছর ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তরুণ মজুমদার। কিন্তু তার মধ্যেও থেমে থাকেনি তার কাজ। শারীরিক সমস্যা সামলে একের পর এক সিনেমা তৈরি করেছেন তিনি। কাজ করে গিয়েছেন নিজের মতো করে। কিন্তু চলতি বছর থেকেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে।

ব্রিটিশ শাসিত ভারতে জন্মগ্রহণ করেন তরুণ মজুমদার। তার বাবা বীরেন্দ্রনাথ মজুমদার ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী। রসায়নের ছাত্র হলেও সিনেমা তৈরির ঝোঁক ছিল তরুণ মজুমদারের। শচীন মুখোপাধ্যায়, দিলীপ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে মিলে ‘যাত্রিক’ নামে টিম তৈরি করে সিনেমা পরিচালনার কাজ শুরু করেন তিনি। এই তিন পরিচালকের প্রথম সিনেমা ‘চাওয়া পাওয়া’। এতে অভিনয় করেছিলেন উত্তমকুমার, সূচিত্রা সেন। এরপর ‘যাত্রিক’ নির্মাণ করে ‘কাঁচের স্বর্গ’। যা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে।

১৯৬৫ সালে ‘যাত্রিক’ থেকে বেরিয়ে আসেন তরুণ মজুমদার। একই বছর ‘আলোর পিপাসা’ এবং ‘একটুকু ভালোবাসা’ নামে দু’টি সিনেমা তৈরি করেন। তারপর থেকে একের পর এক সিনেমা উপহার দিয়েছেন এই পরিচালক। এ তালিকায় রয়েছে—‘বালিকা বধূ’, ‘কুহেলি’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘ফুলেশ্বরী’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘আপন আমার আপন’, ‘গণদেবতা’, ‘চাঁদের বাড়ি’ প্রভৃতি।

ভারতীয় বাংলা সিনেমার এই নির্মাতা বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। পদ্মশ্রী সম্মানেও ভূষিত হয়েছেন তিনি।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস