অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

নাইজেরিয়ায় বন্দুকধারীদের হামলায় ৩০ সেনা নিহত

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:২১ এএম, ৩ জুলাই ২০২২ রোববার  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

নাইজেরিয়ায় অতর্কিত বন্দুক হামলায় অন্তত ৩০ সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। দেশটির নাইজার প্রদেশের শিরোরো এলাকার একটি খনিতে বন্দুকধারীদের হামলায় তারা প্রাণ হারান।

রোববার (৩ জুলাই) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

রয়টার্স জানায়, গত বুধবার নাইজেরিয়ার নাইজার প্রদেশের শিরোরো এলাকার ওই খনিতে হামলার পর অপহরণের শিকার শ্রমিকদের খোঁজে সেখানে সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল। নিখোঁজদের মধ্যে চারজন চীনা নাগরিক ছিলেন। বুধবারের হামরার পর তাদের অপহরণ করা হয়েছিল। পরে সেখানেই সেনাসদস্যদের ওপর হামলা করে সন্ত্রাসীরা।

শনিবার নাইজার প্রদেশের রাজধানী শিরোরো ও মিন্নাতের সেনাবাহিনীর দুটি সেনা সূত্র জানায়, সন্ত্রাসীদের হামলার পর নিরাপত্তা বাহিনী আক্রমণ করে। এ সময় বন্দুকধারীরা তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় ও গুলিবর্ষণ করে। এ ছাড়া অ্যামবুশ হামলায় তিনটি ট্রাকে থাকা ৩০ জন সৈন্যকে হত্যা করে তারা।

শিরোরোর সেনা ঘাঁটির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সৈনিক বলেছেন, ‘আমাদের সেনাদের হারানো হৃদয়বিদারক, নিরাপত্তাকে আরও জোরদার করতেই তাদের মোতায়েন করা হয়েছিল। এটি আমাদের দুর্বল করেছে তবে আমারা হাল ছাড়ব না। বিপুল সংখ্যক সৈন্যকে প্রাণ দিতে হয়েছে।’
উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় নাইজারের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা কমিশনার ইমানুয়েল উমর হামলার পর প্রাথমিকভাবে বলেন, আজতা আবোকি গ্রামের ওই খনিতে হামলার ঘটনায় অজ্ঞাত সংখ্যক লোক নিহত হয়েছেন।

এসক স্থানীয় নেতা রয়টার্সকে জানান, বুধবার ওই হামলার আগে একটি মোটরবাইক ও একটি ট্রাকে করে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ওই খনিতে আসে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদু বুহারি হামলাকারীদের ‘স্যাডিস্ট’ উল্লেখ করে এক টুইটার বার্তায় বলেন, তাদের খুঁজে বের করা হবে এবং শাস্তি দেওয়া হবে।

পশ্চিম আফ্রিকার অন্যতম বৃহৎ দেশ নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ডাকাতি, হত্যা, লুটপাট, স্কুলের শিক্ষার্থীদের বন্দি ও জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের মতো অপরাধ প্রায় নিয়মিত ঘটনা হয়ে উঠেছে। এসব অপরাধ বন্ধে নাইজেরিয়ার কেন্দ্রীয় সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ পদেক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।

গত ১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে নাইজেরিয়াভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী বোকো হারাম ও আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।