অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ভ্রুণ হত্যা: এআইজি ফারুকীর মামলা থেকে অব্যাহতি 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট 

প্রকাশিত: ০৪:২৭ পিএম, ২৯ জুন ২০২২ বুধবার  

ভ্রুন হত্যার অভিযোগে এআইজি (এসপি পদমর্যাদা) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকীর বিরুদ্ধে করা মামলায় অব্যাহতির আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত বাদীর নারাজি আবেদন নাকচ করে ডিবি পুলিশের দেয়া প্রতিবেদন আমলে গ্রহণ করে মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।

বুধবার (২৯ জুন) সংশ্লিষ্ট আদালতের প্রসেস সার্ভার আরমান হোসেন এ তথ্য জানান।

আদালতে সুত্রে জানা যায়, গত ২৯ মে এআইজি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পায়নি মর্মে ডিবি পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করে। এরপর বাদীকে এ বিষয়ে নোটিশ জারি করা হয়। মঙ্গলবার বাদী আদালতে এসে নারাজি আবেদন দাখিল করেন। আদালত নারাজির আবেদন নামঞ্জুর করে মামলাটিতে অব্যাহতির আদেশ দেন।

এর আগে গত ১৫ মার্চ এক নারী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৯ সালে মহিউদ্দিন ফারুকীর সাথে ওই নারীর ফেসবুকের মাধ্যমে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হয়। তারা আগস্ট মাসে একটি রেস্টুরেন্টে দেখা করেন। মহিউদ্দিন ফারুকী ওই নারীকে জানান, তার স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক ভালো না। তাকে বিয়ে করলে তিনি স্ত্রীকে তালাক দিবেন। ওই নারী প্রথমে তার প্রস্তাব নাকচ করেন। এরপর মহিউদ্দিন ফারুকী তার সাথে প্রেমের সম্পর্কে লিপ্ত হতে প্রলুদ্ধ করেন তাকে। ৩০ সেপ্টেম্বর মহিউদ্দিন ফারুকী হঠাৎ করে ওই নারীর বাসায় যান। এরপর বিভিন্ন অজুহাতে তিনি বাসায় যাতায়াত করেন। ৯ অক্টোবর মহিউদ্দিন ফারুকী ওই নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। এরপর ২০২০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ওই নারীর জন্মদিনে মহিউদ্দিন ফারুকী তাকে পরিবারের সদস্যদের সাথেও দেখা করান। এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মহিউদ্দিন ফারুকী ওই নারীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে থাকেন। পরে ১৭ মার্চ ওই নারী তাকে প্রেগনেন্সির কথা জানান।

এদিকে চিকিৎসক তাকে ভিটামিন ও আয়রন ট্যাবলেট গ্রহণের পরামর্শ দেন। ১৮ মার্চ মহিউদ্দিন ফারুকী তার জন্য কিছু ওষুধ নিয়ে আসেন। কৌশলে তা ওই নারীকে খাওয়ান। রাতে তার পেটে ব্যথা হয়। পরদিন সকালে এসে মহিউদ্দিন ফারুকী আবার তাকে ওষুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে মহিউদ্দিন ফারুকী অকপটে স্বীকার করেন ওষুধগুলো গর্ভপাতের ওষুধ। এরপর ২০২১ সালে ১৬ এপ্রিল ওই নারী আবারও গর্ভবতী হওয়ার খবর  পান। ২৮ এপ্রিল মহিউদ্দিন ফারুকীকে এ খবর দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হুমকি দেন মহিউদ্দিন ফারুকী। ওই নারী তাকে বিয়ে করতে বলেন। না হলে আইনের আশ্রয় নিবেন বলে জানান। পরবর্তীতে ৬ জুন তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের একটি সন্তান রয়েছে।