অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

যুক্তরাষ্ট্রে নারীদের গর্ভপাতের অধিকার বাতিল

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৭:০৪ পিএম, ২৫ জুন ২০২২ শনিবার  

নারীদের গর্ভপাতের অধিকার বাতিল করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার (২৪ জুন) দেশটির সুপ্রিম কোর্ট   গর্ভপাতের অধিকার সংশ্লিষ্ট ৫০ বছর পুরনো ঐতিহাসিক এক রায় খারিজ করে দেয়।“রয় বনাম ওয়েড” নামে পরিচিত মামলার রায়ের ফলে দেশটিতে গর্ভপাত বৈধতা ছিল। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ আদালত গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকার বাতিল করে দিয়ে গর্ভপাতের অনুমোদন দেওয়া বা না দেওয়ার সিদ্ধান্তের ক্ষমতা প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের ওপর ছেড়ে দিয়েছে। ফলে এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যগুলো নিজেরা গর্ভপাত নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া চালু করতে পারবে। ধারণা করা হচ্ছে, দেশটির অন্তত অর্ধেক অঙ্গরাজ্যে গর্ভপাত ইস্যুতে নতুন বিধিনিষেধ বা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে।

১৩টি অঙ্গরাজ্যে ইতোমধ্যে তথাকথিত আইন পাস হয়েছে। যযার ফলে সুপ্রিম কোর্টের রুলিংয়ের পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে গর্ভপাত বেআইনি হিসেবে পরিগণিত হবে। কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে নতুন বিধিনিষেধ শিগগিরিই জারি হতে পারে।

দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য মিসিসিপির রাজ্য সরকার গর্ভধারণের ১৫ সপ্তাহের পর গর্ভপাত নিষিদ্ধ করাকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা এক মামলায় রাজ্য সরকারের পক্ষে রায় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট; ফলে মার্কিন নারীরা ১৯৭৩ সাল থেকে গর্ভপাতের যে সাংবিধানিক অধিকার ভোগ করে আসছিলেন, তা কার্যত  খর্বিত হলো।

সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়, “১৯৭৩ সালের আইনে গর্ভধারণের পর ২৪ থেকে ২৮ সপ্তাহ সময়কালেও গর্ভপাত করার এখতিয়ার রাখা হয়েছে। এটি ভুল সিদ্ধান্ত। কারণ, মার্কিন সংবিধানে গর্ভপাতের অধিকারের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু বলা নেই।”

রায়ে আরও বলা হয়,  “গর্ভপাতের অধিকার সংবিধানের আওতায় থাকতে পারেনা।গর্ভপাত নিয়ন্ত্রণের অধিকার অবশ্যই মানুষের এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ন্যস্ত করা উচিত।”

ডবস বনাম জ্যাকসন ওমেন’স হেলথ ওর্গানাইজেশনের একটি মামলা বিবেচনায় নিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলায় মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যে ১৫ সপ্তাহ পর গর্ভপাত নিষিদ্ধের আইনকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছিল। কিন্তু রক্ষণশীল সংখ্যাগরিষ্ঠ আদালত রাজ্যের পক্ষে রায় দেয়। 

বিবিসি জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে এখন রক্ষণশীল বিচারকরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকার রোহিত করার পক্ষে মতামত দেন ছয়জন বিচারক, বিপক্ষে দেন তিনজন।