অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

বিএনপির নেতারা বন্যার্তদের পাশে না দাঁড়িয়ে ভাষণ দিচ্ছেন: তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৩:২২ পিএম, ২০ জুন ২০২২ সোমবার   আপডেট: ০৩:২৮ পিএম, ২০ জুন ২০২২ সোমবার

বিএনপির নেতারা সিলেটের বন্যার্তদের পাশে না দাঁড়িয়ে ভাষণ দিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। 

সোমবার (২০ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়োর সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক ইস্যুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘তারা বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ায়নি। আজ পর্যন্ত দাঁড়ানোর কোনো নির্দেশনাও দেয়নি। অথচ আমাদের নেত্রী সাথে সাথে নির্দেশনা দিয়েছেন। তারা তো পাশে দাঁড়ায়নি, বসে বসে ভাষণ দেন।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন যে, কোনো দুর্যোগ-দুর্বিপাকে আমাদের নেত্রী নির্ঘুম রাত কাটান। আমাদের নেতাকর্মীরা একদিকে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন আর অন্যদিকে দেখা যাচ্ছে, এখানে নয়াপল্টনে বসে বা গুলশানে বিএনপির একটি কার্যালয় আছে সেখানে বসে, প্রেসক্লাবে বসে বিএনপির নেতারা নানা কথা বলছেন। রাজনীতিটা তো মানুষের কল্যাণের জন্য, দেশ ও মানবসেবার জন্য। কিন্তু সেটি না করে এখানে বসে তারা বাগাড়ম্বর করছেন। দুর্গতদের পাশে তারা দাঁড়াননি, দাঁড়ানোর কোনো নির্দেশনাও নেই তাদের দলের পক্ষ থেকে। অথচ আমাদের নেত্রী সাথে সাথে নির্দেশনা দিয়েছেন। এমনকি আমাদেরও পার্সোনালি নানা নির্দেশনা নিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার যে ব্যবস্থা নিয়েছে, আমাদের দলের একজন নেতা ছাড়া কেউ মৃত্যুবরণ করেননি। এটিই প্রমাণ করে যে, আমাদের দল পাশে দাঁড়িয়েছে। তারা তো পাশে দাঁড়াননি এখানে বসে বাগাড়ম্বর করেন। ভাষণ দেন।’

মন্ত্রী বলেন, ‘একদিনে এক হাজার মিলিলিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এই বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার সাথে সাথে প্রশাসনের সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে নির্দেশ দেন। তিনি সেনাবাহিনীকে কাজে লাগিয়েছেন। আমাদের দলের নেতাকর্মীদেরও নির্দেশ দিয়েছেন বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে। আমাদের দলের নেতাকর্মীরা নিজেরাই বন্যায় প্লাবিত, তাদেরও ঘরবাড়ি ডুবেছে, এরপরেও প্রশাসনের পাশাপাশি তারা বন্যার্তদের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। ছাত্রলীগের এক নেতা বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে মৃত্যুবরণও করেছে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু বিএনপির জন্য একটি যন্ত্রণা। বিএনপি-জামায়াত পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করেছিল। তারা চায়নি পদ্মা সেতু হোক। তাই সেতু হয়ে যাওয়ায় তাদের জ্বালা। আর উদ্বোধন হয়ে গেলে আরো জ্বালা। সেই জ্বালা থেকেই বিএনপি নেতারা বিভিন্ন কথা বলেন।’