অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

হু হু করে বাড়ছে তিস্তার পানি, নির্ঘুম রাত তীরবর্তী মানুষের

হাসানুজ্জামান হাসান, লালমনিরহাট

প্রকাশিত: ১২:১৯ পিএম, ১৭ জুন ২০২২ শুক্রবার  

হু হু করে বাড়ছে তিস্তা নদীর পানি। ঘর বাড়িতে পানি উঠায় নদী তীরবর্তী মানুষগুলো বাড়ি ঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে যাচ্ছেন। এতে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে তিস্তা পারের বাসিন্দারা।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) রাত ৯টার দিকে জেলার হাতিবান্ধার দোয়ানীতে অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে (৫২.৭০ সেন্টিমিটার) বিপদসীমার ১০ সেন্টিমটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। (স্বাভাবিক ৫২.৬০ সেন্টিমিটার)।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘উজানে ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীর পানি হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, ইতিমধ্যে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।আজ সকাল ৯ টায় পানি বিপদসীমার কাছাকাছি এবং বিকেল ৩টায় বিপদসীমা দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করে। তবে রাত ৯ ডালিয়া পয়েন্ট পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রাতে পানি আরো বাড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।

উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিপাতে তিস্তা ও ধরলা নদীর পাশাপাশি জেলার অন্যান্য নদী ও ঢোবায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে ক্রমেই বাড়ছে দুর্ভোগ।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার কালমাটির রফিকুল ইসলাম জানান, নদীর পানি বিকেল থেকে হু হু করে বাড়ছে। নদীর তীরবর্তী হওয়ায় কয়েকদিন থেকে রাতে ঘুম আসছে না চোখে। কখন কি হয় সে চিন্তাই এখন মুল ভয়। এর আগে তিস্তার গ্রাসে ৮ বার বাড়ি সরিয়ে নিয়েছে বলেও জানান তিনি। 

নির্ঘুম রাত কাটানোর অভিজ্ঞতা শুধু রফিকুলের নয় ঐ এলাকার শামসুল, আমজাদসহ অনেকেই জানান, পানি বৃদ্ধি পেলে আমরা যেখানে আশ্রয় নেই ইতিমধ্যে সেই স্কুলের মাঠেও পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। 

এদিকে বন্যাসহ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক আবু জাফর।