অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ইন্টারপোলের সহযোগিতায় ওমান থেকে মুসাকে দেশে আনা হয়েছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৫:১০ পিএম, ১০ জুন ২০২২ শুক্রবার  

ইন্টারপোলের সহযোগিতায় রাজধানীর শাহজাহানপুরে চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ও সমন্বয়কারী শীর্ষ সন্ত্রাসী সুমন সিকদার ওরফে মুসাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগের একটি দল ইন্টারপোলের ওমান পুলিশ এনসিবি এর সহযোগিতায় মুসাকে  ওমান থেকে দেশ ফিরিয়ে এনেছে।  

আজ শুক্রবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার এ তথ্য জানান।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, গত ২৪ মার্চ রাতে রাজধানীর শাহজাহানপুরের আমতলা মসজিদ এলাকায় এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত হন মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদুল ইসলাম টিপু। ওই সময় ঘটনাস্থলে রিকশায় বসে থাকা কলেজ ছাত্রী সামিয়া আফরান জামাল প্রীতি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় শাহজাহনপুর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগ এ মামলার তদন্ত শুরু করে। ঘটনার মূল শুটার মাসুম মোহাম্মদ আকাশকে গত ২৭ মার্চ গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়। আকাশ ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তার জবানবন্দিতে এই হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ও সমন্বয়কারী হিসেবে শীর্ষ সন্ত্রাসী সুমন সিকদার ওরফে মুসার সংশ্লি¬ষ্টতা পাওয়া গেছে। 

তিনি আরও বলেন, মামলা তদন্তকালে জানা যায় সুমন সিকদার ওরফে মুসা গত ১২ মার্চ সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে বাংলাদেশ ছাড়েন। পরবর্তীতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) ইন্টারপোলের মাধ্যমে ওমানে মুসার অবস্থান শনাক্ত করে। গত ১০ মে এনসিবি সুমন শিকদারকে গ্রেফতারের জন্য ওমানের এনসিবিকে অনুরোধ জানায়। ১৭ মে ওমান পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। 

মুসাকে ফিরিয়ে আনতে গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহিদুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের তিন সদস্যের একটি দল গত রোববার (৫ জুন) ওমানে যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার তাকে ওমান থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

এ মামলায় মোট ১৩ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে মূল পরিকল্পনাকারী ও সমন্বয়কারী সুমন সিকদার মুসা এবং শুটার মাসুম মোহাম্মদ আকাশ অন্যতম। এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান এ গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
গ্রেফতারকৃত মুসাকে ১৫ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।