অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

তিনদিনের রিমান্ডে পি কে হালদার, ইডির জিজ্ঞাসাবাদ

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:২৯ পিএম, ১৫ মে ২০২২ রোববার   আপডেট: ১২:৩৩ পিএম, ১৫ মে ২০২২ রোববার

তিনদিনের রিমান্ডে পি কে হালদার, ইডির জিজ্ঞাসাবাদ। ছবি: সংগৃহীত

তিনদিনের রিমান্ডে পি কে হালদার, ইডির জিজ্ঞাসাবাদ। ছবি: সংগৃহীত

কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ মাথায় নিয়ে বাংলাদেশ থেকে পালানো এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার হালদারকে (পি কে হালদার)  তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ভারতের ব্যাঙ্কশাল স্পেশাল সিবিআই কোর্ট।

শনিবার (১৪ মে) দিনগত গভীর রাতে পি কে হালদারসহ ছয়জনকে ব্যাঙ্কশাল সিবিআই কোর্টে হাজির করা হয়। এরপর আদালত তাদের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রোববার (১৫ মে) সকালে অর্থ-সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি) জানায়, পি কে হালদারকে তিনদিনের রিমান্ডে নিয়ে নিজেদের হেফাজতে রেখেছে ইডি। একইসঙ্গে প্রাণেশ হালদার ওরফে প্রীতিশের স্ত্রীকে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।

ডি জানিয়েছে, পি কে হালদার ভুয়া তথ্য-পরিচয় এবং রেশন কার্ডের মতো জাতীয় কার্ড ব্যবহার করে ভারতীয় নাগরিকত্ব নিয়েছিলেন শিবশংকর হালদার নামে। ভারতীয় পরিচয়ে পশ্চিমবঙ্গে বিপুল অর্থবিত্তের মালিক হন তিনি।

ইডির অভিযানে, তিনিসহ তার দুই ভাই প্রীতিশ ও প্রাণেশ হালদার, সহযোগী স্বপন মৈত্র, উত্তম মৈত্র এবং এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

হুন্ডির মাধ্যমে ভারতে টাকা পাচারে পি কে হালদারকে সহযোগিতা করেছেন সুকুমার মৃধা। আর সম্পদ কেনায় সাহায্য করেছেন সুকুমারের মেয়ে অনিন্দিতা ও মেয়ের জামাই সঞ্জিব হাওলাদার। এ তথ্যের ভিত্তিতেই পশ্চিমবঙ্গজুড়ে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি।

জানা গেছে, পি কে হালদার নাম পাল্টে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। সেখানে শিবশঙ্কর হালদার পরিচয়ে ভারতীয় নাগরিকত্ব নেন তিনি। এ ছাড়া ভারতে একাধিক অভিজাত বাড়িসহ বিপুল সম্পদ গড়ে তুলেছেন তিনি। অবশেষে শনিবার (১৪ মে) অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

উল্লেখ্য, দেশের বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেন পি কে হালদার। দুদক তার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ৩৪টি মামলা করেছে। এসব মামলায় এক ডজনেরও বেশি ব্যক্তি কারাগারে রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১১ জন দোষ স্বীকার করে জবানবন্দিও দিয়েছেন।