অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

কুষ্টিয়ায় ট্রিপল মার্ডার: ৩ জনের আমৃত্যু, যাবজ্জীবন ৮

ডিসট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, কুষ্টিয়া

প্রকাশিত: ০৪:২৬ পিএম, ১০ মে ২০২২ মঙ্গলবার  

কুষ্টিয়ায় ট্রিপল মার্ডার মামলায় তিনজনের আমৃত্যু ও আটজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয় হয়।

মঙ্গলবার (১০ মে) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম আসামিদের অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১১ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।

আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পুতলাডাঙ্গা গ্রামের আসকর আলীর ছেলে ফারুক সর্দার, সদর উপজেলার পশ্চিম আব্দালপুর গ্রামের ইছহাক আলী মাস্টারের ছেলে কালু ওরফে কফিল উদ্দিন ও শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকার কালো মজনুর ছেলে রোহান।

অপরদিকে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের মৃত খোরশেদ মণ্ডলের ছেলে ফারুক মণ্ডল, ভায়না গ্রামের জবেদ আলীর ছেলে লিয়াকত আলী, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার করিমপুর গ্রামের জলিল শেখের ছেলে লিয়াকত শেখ, এছেম শেখের ছেলে মনোয়ার শেখ, আনছার শেখের ছেলে আকাম উদ্দিন, ওয়াহেদ আলী জোয়াদ্দারের ছেলে জমির উদ্দিন, ইবি থানার খোর্দ্দবাখইল গ্রামের আবু বক্করের ছেলে নুরাল ওরফে নুরুল, সদর উপজেলার মাঝপাড়া গ্রামের ওম্মাদ মণ্ডলের ছেলে খাকচার মণ্ডল।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অনুপ কুমার নন্দী জানান, ২০০৯ সালের ১০ আগস্ট সকালে কুষ্টিয়ার ডিসি কোট সংলগ্ন গণপূর্ত অফিসের প্রাচীরের সঙ্গে একটি চটের ব্যাগে স্থানীয় শামসুজ্জোহা, কাইয়ুম ও আইয়ুবের বিচ্ছিন্ন মাথা পাওয়া যায়। পরদিন সদর উপজেলার সোনাডাঙ্গা গ্রামের মাঠের মধ্যে পাওয়া যায় তাদের দেহ। এ ঘটনায় নিহত কাইয়ুমের ভাই আব্দুল হাই বাদী হয়ে ১০ আগস্ট কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

তিনি আরও জানান, এলজিইডির ১৮ কোটি টাকার কাজ বাগিয়ে নিতে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য তাদের হত্যা করা হয়। যাদেরকে খুন করা হয়েছে তারা এবং আসামিরা সবাই জাসদ গণবাহিনীর দুটি দলের সদস্য।