অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

এএসপি আনিস হত্যা মামলা পুন:তদন্তের নির্দেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০২:৫২ পিএম, ২৭ এপ্রিল ২০২২ বুধবার   আপডেট: ০২:৫৪ পিএম, ২৭ এপ্রিল ২০২২ বুধবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলা পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এবার পুলিশ বুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বুধবার (২৭ এপ্রিল) আদাবর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর শরীফুল ইসলাম মামলাটি পুনরায় তদন্তের বিষয়টি জানান। এএসপি আনিসের বাবা ফাইজুদ্দীন আহম্মেদের নারাজির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান গত সপ্তারে এই আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, এ মামলার এজাহারে ডা. নুসরাত নামে একজনকে আসামি করা হয়নি। কিন্তু মামলা দায়েরের পর উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন তিনি। তবে চার্জশিটে তার নাম আসেনি। এএসপি আনিসের পরিবারের ধারণা, নিশ্চয় ডা. নুসরাত ঘটনার সাথে জড়িত। না হলে কেন তিনি আগেই জামিন নিবেন। এজন্য মামলাটি পুনরায় তদন্তের আবেদন করেন আনিসের বাবা ফাইজুদ্দীন আহম্মেদ। পরে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

গত ৮ মার্চ এ মামলায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. ফারুক মোল্লা। মামলার অপর আসামিরা হলেন-মাইন্ড এইড হাসপাতালের পরিচালক আরিফ মাহামুদ, ফার্মাসিস্ট তানভীর হাসান, কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন, সাজ্জাদ আমিন ও ফাতেমা খাতুন, হাসপাতালের সমন্বয়ক রেদোয়ান সাব্বির, হাসপাতালের কর্মচারী মাসুদ খান, জোবায়ের হোসেন, তানিফ মোল্লা, সজীব চৌধুরী, অসীম কুমার পাল, লিটন আহম্মেদ, সাইফুল ইসলাম ও আবদুল্লাহ আল মামুন।

চার্জশিটে বলা হয়েছে, মধ্যযুগীয় কায়দায় এএসপি আনিসুল করিমকে আঘাত করা হয়েছিল। মাইন্ড এইড হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় অপেশাদার লোকদের দিয়ে আনিসুলের দুই হাত পিঠ মোড়া দিয়ে বেঁধে ফেলা হয়। এরপর আসামিরা ঘাড়ে, বুকে, মাথায় আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন।