অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

নিউমার্কেটে সংঘর্ষ: বিএনপির ১৪ নেতাকর্মীর আগাম জামিন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৩:৩৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল ২০২২ মঙ্গলবার  

রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ি-শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগের মামলায় বিএনপির ১৪ নেতাকর্মীকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. সেলিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

১৪ নেতাকর্মী হলেন—আমীর হোসেন আলমগীর, মিজান, হাসান জাহাঙ্গীর মিঠু, হারুন হাওলাদার, শাহ আলম সন্টু, শহীদুল ইসলাম শহীদ, জাপানি ফারুক, মিজান ব্যাপারী, আসিফ, রহমত, বিল্লাল, মনির, জুলহাস ও বাবুল।

এ মামলায় গত ২৩ এপ্রিল বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ।

এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিউমার্কেট থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) হালদার অর্পিত ঠাকুর আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, গত ১৯ এপ্রিল রাত পৌনে একটা থেকে রাত ২টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত অজ্ঞাতনামা ৬০০/৭০০ জন ঢাকা কলেজের ছাত্র এবং নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীসহ অজ্ঞাতনামা ২০০/৩০০ জন ব্যবসায়ী ও কর্মচারী নিউমার্কেট থানাধীন চন্দ্রিমা মার্কেটের সামনে পুলিশের সরকারি কাজে বাধা দেয়। পুলিশের ওপর আক্রমণ, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে জখম, ভাঙচুর করার অপরাধ করেছে।

মামলার সুষ্ঠু তদন্ত, মূল রহস্য উদঘাটন, এজাহারনামীয় আসামিসহ অজ্ঞাতনামা আসামিদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ পূর্বক গ্রেফতারের লক্ষ্যে আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

এর আগে ২২ এপ্রিল শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে মকবুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।

উল্লেখ্য, গত সোমবার (১৮ এপ্রিল) দিনগত রাত ১২টার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও দোকানকর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা চলে এ সংঘর্ষ। এরপর রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও মঙ্গলবার সকাল ১০টার পর ফের দফায় দফায় চলে সংঘর্ষ। দিনভর সংঘর্ষের পর সন্ধ্যায় পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। সংঘর্ষের তৃতীয় দিন বুধবার সারাদিন থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করলেও সন্ধ্যার পর আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তিনদিনের সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়ে ঢামেকসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ পুলিশের অনেক সদস্য আহত হয়েছেন।