অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

‘ঘোস্ট অব কিয়েভ’-এর অস্তিত্ব কি সত্যিই আছে?

সাতরং ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৩:৪৯ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শনিবার   আপডেট: ০৩:৪৯ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শনিবার

রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণের পর পাল্টা জবাব দেওয়া শুরু করেছে ইউক্রেনও। ইউক্রেনের একজন যুদ্ধবিমান পাইলট প্রথমদিনের যুদ্ধে ছয়টি রাশিয়ান বিমান ধ্বংস করেছেন বলে দাবি করা হচ্ছে।

সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যমে তিনি ‘ঘোস্ট অব কিয়েভ’ (কিয়েভের ভূত) বলে পরিচিতি লাভ করেন। টুইটারে 'ঘোস্ট অব কিয়েভ' ট্রেন্ডিং-এ পরিণত হয়।

ওই পাইলট একটি ইউক্রেনিয়ান মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান ওড়ান। তিনি এটি দিয়ে রাশিয়ার দুইটি সুখোই-৩৫, একটি সুখোই-২৭, একটি মিগ-২৮, ও দুইটি সুখোই-২৫ যুদ্ধবিমানকে পরাভূত করেছেন বলে দাবি উঠেছে।

তবে এখন পর্যন্ত 'ঘোস্ট অব কিয়েভ' বলে কেউ আদৌ আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। টুইটারসহ অন্যান্য সামাজিক যোগোযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ঘুরে বেড়াচ্ছে যেখানে একটি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানকে আরেকটি যুদ্ধবিমান মিসাইল দিয়ে ধ্বংস করতে দেখা যায়।

 

Ukrainian pilot who is 6-0 shoots down a Russian Su-35 with his Mig-29. He’s been nicknamed the ghost of Kyiv, and is the first pilot since WW2 to achieve ace status! pic.twitter.com/WsoadzLrdQ

— Olegi21 ???? (@ItsOlegi21) February 25, 2022

 

এই ভিডিওটি 'ঘোস্ট অব কিয়েভ'র বলে টুইটারে বারবার শেয়ার হচ্ছে। কিন্তু ফ্যাক্ট-চেক করে দেখা গেছে, এটি তা নয়।

ফ্যাক্ট-চেকিং গণমাধ্যম স্নোপস ডট কম নিশ্চিত করেছে, ওই ভিডিওটি ডিজিটাল কমব্যাট সিমুলেটর (ডিসিএস) দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।

ডিসিএস একটি সিমুলেশন গেইম যা ২০০৮ সালে মুক্তি পায়। ইউটিউবে প্রথমবারের মতো ভিডিওটি পোস্ট করেছেন 'কমরেড_কর্ব্' নামের একজন ব্যক্তি। সেখানকার ক্যাপশনে লেখা আছে, এটি তৈরি করা হয়েছে 'ঘোস্ট অব কিয়েভ'-এর বা তার ধারণা'র প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের অংশ হিসেবে।

তবে 'ঘোস্ট অব কিয়েভ' সত্যিই থাকুক বা না থাকুক, তার ধারণা বা অস্তিত্বে বিশ্বাস নিশ্চিতভাবেই ইউক্রেনের মানুষকে কিছুটা হলেও আশা দেখিয়েছে। 'ঘোস্ট অব কিয়েভ' তাদের কাছে একজন হিরো, অথবা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে দেওয়ার মতো একটি কিংবদন্তি।

সূত্র: স্নোপস ডট কমএমএসএন