অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

পাবনায় নির্বাচনী সংঘাতে এলাকাছাড়া পরিবারের সংবাদ সম্মেলন 

ডিসট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, পাবনা

প্রকাশিত: ০২:৫১ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০২২ সোমবার  

পাবনায় হেমায়েতপুর ইউনিয়নের নির্বাচনী সংঘাতে হত্যাকান্ডের ঘটনায় মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে এলাকাছাড়া করার অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ও মামলা থেকে অব্যহতির দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগীতাও চেয়েছেন তারা। 

সোমবার দুপুরে (২৪ জানুয়ারি) পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এ কে এম মাহবুবুল আলম নেতার পরিবার।  

মাহবুবুল আলমের মেয়ে মেহনাজ পারভিন জানান, গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর হেমায়েতপুর ইউপির নাজিরপুর গ্রামে নির্বাচন পরবর্তী বৈঠকে শামীম নামের এক যুবক নিহত হন। শামীম ইউপি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মঞ্জুরুল ইসলাম মধুর সমর্থক ছিলেন।  

‘এ ঘটনায় কোন ধরণের সংশ্লিষ্টতা না থাকা সত্ত্বেও প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে হত্যার জন্য আমার বাবা মাহবুবুল আলম নেতা জড়িত বলে প্রচার করে। এক পর্যায়ে বাবাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমাদের বাড়িতে হামলা করে। সন্ত্রাসীরা বাবাকে না পেয়ে আমাদের বাড়িতে তান্ডব চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে ২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, জমির কাগজ, বন্দুকের লাইসেন্স লুট করে নিয়ে যায়। বাড়ির নারী সদস্যদেরও তারা মারপিট করে।’ 

মেহনাজ দাবি করেন, শামীম হত্যাকান্ডে জড়িত নন, নিহত শামীমের বাবাও তা পুলিশ প্রশাসন ও সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স কে জানিয়েছেন। মঞ্জুরুল ইসলাম রাজনৈতিক হীন স্বার্থে বাবার নাম হত্যা মামলায় জড়িয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত ও সুবিচার প্রার্থনা করছি। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত একে এম মাহবুবুল আলমের স্ত্রী সালমা সুলতানা বলেন, আমার স্বামীকে তারা যেখানে পাবে সেখানেই হত্যা করবে বলে হুমকি দিয়েছে। মধুর সন্ত্রাসী বাহিনীর অপকর্মের বিরোধীতা ও প্রতিবাদ করায় তারা আমার স্বামীকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে এলাকা ছাড়া করেছে। আমি আমার তিন মেয়েকে নিয়ে মানুষের বাড়িতে মানবেতর দিন কাটাচ্ছি। আমরা জীবনের নিরপত্তা চাই।  

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনী সংঘাতে হত্যাকান্ডের পর মামবুবুল আলমের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। মাহবুবুল আলমের পরিবারের নিরপত্তার জন্য বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।