অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ব্রিফিং

আগামী দুই সপ্তাহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১১:৪৩ এএম, ২১ জানুয়ারি ২০২২ শুক্রবার   আপডেট: ১২:৩৭ পিএম, ২১ জানুয়ারি ২০২২ শুক্রবার

আগামী দুই সপ্তাহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে

আগামী দুই সপ্তাহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে

করোনা পরিস্থিতি আবারও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় আগামী দুই সপ্তাহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। সেইসঙ্গে সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিল্প কলকারখানাগুলোতে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আবশ্যিকভাবে করোনা টিকার সার্টিফিকেট গ্রহণসহ মোট ৫ দফা জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এই নির্দেশনা ২১ জানুয়ারি থেকেই কার্যকর হবে।

শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর মহাখালীতে করোনার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিংকালে এ তথ্য জানান তিনি। আরও বলেন, দুই সপ্তাহ পর করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি বুঝে আবার নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ৫ জরুরি নির্দেশনা-

২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে

রাষ্ট্রীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় সমাবেশ বা অনুষ্ঠানসমূহে ১০০ জনের বেশি জনসমাগম করা যাবে না।

এসব ক্ষেত্রে যারা যোগদান করবেন তাদের অবশ্যই করোনা প্রতিরোধী টিকা সার্টিফিকেট বা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরটি পিসিআর টেস্টের ফল সাথে আনতে হবে।

সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিল্প কলকারখানাগুলোতে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আবশ্যিকভাবে করোনা টিকার সার্টিফিকেট গ্রহণ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে দায়িত্ববহন করতে বলা হয়েছে।

বাজার, মসজিদ, বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশনসহ সবধরণের জনসমাবেশে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বিষয়টি মনিটর করতে বলা হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘প্রতিদিন আক্রান্তের হার বেড়ে যাচ্ছে। ১১ দফা দেবার পরেও সাধারণ মানুষ তা মানছে না। এভাবে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকলে হাসপাতালের বেড খালি থাকবে না। স্কুলে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আগামী ২ সপ্তাহ স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি বন্ধ থাকবে।

‘টিকা সনদ সাথে থাকতে হবে। জেলা প্রাশাসক ও পুলিশের প্রতি ১১ দফা বাস্তবায়নে কঠোর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি। সংক্রমণের হার কমাতে গেলে সবাইকে নিজ জায়গা থেকে বিধিনিষেধ মানতে হবে।’

বইমেলা, স্টেডিয়াম কিংবা পর্যটন এলাকায় গেলে অবশ্যই সঙ্গে করে টিকা কার্ড নিয়ে যেতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

দেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সে বছরের ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় সরকার।

প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়। তার চার মাসের মাথায় আবারও দুই সপ্তাহের বন্ধের ঘোষণা এলো।

দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলছে।প্রায় দুই বছর ধরে চলা করোনা মহামারিতে দেশে এর আগে কম সময়ে এত দ্রুত রোগী বাড়তে দেখা যায়নি। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ মনে করেন, দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ মাত্র শুরু হয়েছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হবে।

ঢাকা ও রাঙামাটির পর আরও ১০ জেলাকে করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ ছাড়া মধ্যম ঝুঁকির তালিকায় রয়েছে ৩২ জেলা। আর এখন পর্যন্ত ঝুঁকিমুক্ত ১৬ জেলা।