অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

খাবার ও পানির তীব্র সঙ্কটে টোঙ্গা, যাচ্ছে আরও সহায়তা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১১:৩০ এএম, ২১ জানুয়ারি ২০২২ শুক্রবার  

প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপদেশ টোঙ্গায় দেখা দিয়েছে খাবার ও পানির সঙ্কট

প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপদেশ টোঙ্গায় দেখা দিয়েছে খাবার ও পানির সঙ্কট

আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ও সুনামিতে বিপর্যস্ত প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপদেশ টোঙ্গায় দেখা দিয়েছে খাবার ও পানির সঙ্কট। আগামী কয়েক দিনে বিভিন্ন দেশ থেকে ত্রাণ নিয়ে পৌঁছানোর কথা রয়েছে বেশ কয়েকটি জাহাজ ও বিমানের।

আগ্নেয় ছাইয়ে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা দূষিত এবং সুনামিতে ঘরবাড়ি ধ্বংস হওয়ার পাঁচ দিন পর বৃহস্পতিবার নিউ জিল্যান্ডের একটি বিমান ত্রাণ নিয়ে টোঙ্গায় পৌঁছায়।

টোঙ্গার প্রধান বিমানবন্দরের রানওয়ে ঢেকে রাখা আগ্নেয় ছাই পরিষ্কার করার পর ওই সামরিক বিমানটি সেখানে নামতে সক্ষম হয়। পানি, তাঁবু, যোগাযোগের যন্ত্রপাতি এবং বৈদ্যুতিক জেনারেটর নিয়ে গেছে বিমানটি।

নিউ জিল্যান্ডের জাহাজ এমএইচএনজেডএস অতেয়ারোয়ার শুক্রবারই টোঙ্গায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে, যেখানে থাকছে আড়াই লাখ লিটার পানি এবং একটি ডেসালিনেশন প্ল্যান্ট, যেটি সাগরের পানি থেকে প্রতিদিন ৭০ হাজার লিটার ব্যবহারযোগ্য পানি দিতে পারবে। 

বৃহস্পতিবারই অস্ট্রেলিয়া থেকে ত্রাণ নিয়ে টোঙ্গার পথে রওনা হয়েছিল একটি বিমান, কিন্তু কারিগরি জটিলতায় মাঝপথে সেটি ফিরে যায়। শুক্রবার সেটি টোঙ্গায় পৌঁছাতে পারে বলে অস্ট্রেলিয়া হাই কমিশন জানিয়েছে।  

এছাড়া ব্রিসবেন থেকে ত্রাণ নিয়ে আগামী সপ্তাহে টোঙ্গায় যাওয়ার কথা অস্ট্রেলিয়ার জাহাজ এইচএমএএস অ্যাডিলেডের।

গত ১৫ জানুয়ারি দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের জলমগ্ন একটি অগ্নেয়গিরিতে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হলে সুনামির সৃষ্টি হয়। সুনামির প্রবল ঢেউয়ে নিকটবর্তী টোঙ্গায় অন্তত তিন জন নিহত হন, ভেসে যায় ঘরবাড়ি। 

টোঙ্গার দ্বীপগুলো ঢাকা পড়ে আগ্নেয়গিরির উৎক্ষিপ্ত ছাইয়ে। বিষাক্ত ছাইয়ের কারণে গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হয়।

ছাই ও সুনামির ঢেউ বেয়ে আসা লবণাক্ত পানিতে দেশটির পানি সরবরাহ ব্যবস্থা দুষিত হয়ে পড়ে। অগ্ন্যুৎপাত ও সুনামিতে সাগরের তলদেশ দিয়ে যাওয়া কেবল ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দেশটি পুরো বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেছেন, এই বিপর্যয়ের মধ্যে জরুরি সহায়তা চেয়েছে টোঙ্গা, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে জাতিসংঘ।

ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের পাশাপাশি কতটা সাহায্য প্রয়োজন বুঝতে টোঙ্গার প্রায় সবগুলো দ্বীপেই পৌঁছে গেছেন কর্মীরা।