অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

আবরার হত্যা 

তিন সাক্ষীর জবানবন্দি পাল্টে আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১০:৪৩ পিএম, ১৯ জানুয়ারি ২০২২ বুধবার  

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বী হত্যা মামলায় তিন সাক্ষীর জবানবন্দি পাল্টে মোর্শেদ আমর্ত্য ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার অভিযোগ তুলেছেন আসামীর বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রবিউল ইসলাম। 

বুধবার (১৯ জানুয়ারি) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতি এবং আইন সচিব বরাবর ডাকযোগে বিষয়টি জানিয়ে চিঠিও দিয়েছেন তিনি। আগামিকাল বৃহস্পতিবার বিষয়টি জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বরারবর চিঠি দিবেন বলে জানান রবিউল ইসলাম।

অভিযোগে রবিউল ইসলাম উল্লেখ করেন, আবরার হত্যা মামলার ২২ নম্বর সাক্ষী মো. গালিব, ২৭ নম্বর সাক্ষী ওয়াহিদুর রহমান ও ২৮ নম্বর সাক্ষী মোঃ সাইফুল ইসলাম কোনো ধরনের ইনক্রিমিনেটিং এভিডেন্স তাদের সাক্ষ্যে না বললেও ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক তার ব্যক্তিগত স্বার্থে বিচারিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে অসত্যভাবে ইনক্রিমিনেটিং এভিডেন্সে সাক্ষীদের নাম রায়ে প্রতিস্থাপন করে মোর্শেদ অমর্ত্যকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। যা রায়কে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এছাড়াও তার ছেলের প্রতি অবিচার ও অন্যায় করা হয়েছে।
 
আবেদনে তিনি দাবি করেন, রায়ের পর প্রকাশিত জাবেদা নকলের সাথে সাক্ষী চলাকালীন সময়ে প্রদত্ত জাবেদা নকলের বক্তব্যের কোনো মিল নেই। আর এই তিনজন সাক্ষী কোনোভাবে জবানবন্দিতে বা জেরার সময় নিজেদেরকে প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী হিসেবে দাবি করেননি। অথচ রায়ের পরবর্তীতে পূর্বের তোলা জাবেদা নকলের সাথে পরবর্তীতে উত্তোলন করা জাবেদা নকল মিলিয়ে দেখা যায় উল্লেখিত তিনজন সাক্ষীকে প্রত্যক্ষদর্শী বা দেখা সাক্ষী করা হয়েছে। 

আবেদনকারী রবিউল ইসলাম আরও জানান, মামলার রায় প্রচার হওয়ার আগের এবং পরে প্রদত্ত উল্লেখ্য তিন সাক্ষীর জবানবন্দি ও জেরার জবেদা নকলের কপি তার কাছে রয়েছে। উত্তোলনকৃত উভয় জবেদা নকলের কপি মিলিয়ে দেখে তারা অবাক হয়েছেন।