নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন: সব কেন্দ্রেই ভোটারদের দীর্ঘ লাইন
ডিসট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত: ১২:৫৯ পিএম, ১৬ জানুয়ারি ২০২২ রোববার আপডেট: ০১:০৩ পিএম, ১৬ জানুয়ারি ২০২২ রোববার
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রগুলোতে বেড়েছে ভোটারদের উপস্থিতি
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রগুলোতে বেড়েছে ভোটারদের উপস্থিতি। দুপুর ১২টার পর থেকে প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রে দেখা গেছে দীর্ঘ লাইন। কোথাও কোথাও ভোটারদের উপচেপড়া ভিড়। ভোটের পরিবেশ অনেকটাই উৎসবমুখর।
রবিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় এ সিটির ১৯২ কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। তবে মাঘের শীতের মধ্যে ভোটারদের কেন্দ্রে কেন্দ্রে জড়ো হতে দেখা গেছে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী ভোটারকেও দেখা গেছে ভোট দেওয়ার অপেক্ষায়।
কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসাররা বলছেন, ইভিএমে ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে ভীতি থাকায় ভোট দিতে প্রয়োজনের চেয়েও বেশি সময় লাগছে। আর এতে তৈরি হচ্ছে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন।
নগীরর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের নারায়ণগঞ্জ ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্র, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের দেওভোগের শিশুবাগ বিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জ আদর্শ বালক বালিকা বিদ্যালয় ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দেওভোগের মর্গ্যান গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।
ভোটকে কেন্দ্র করে শহরে শহরে যান চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। তবে ভোটাররা অটোকিশা ও রিকশায় করে আসতে পারছেন। অনেক বয়স্ক ভোটারকেও দেখা গেছে ভোটের লাইনে। কেন্দ্রের বাইরের পরিবেশ উৎসবমুখর।
নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ওসি শাহ জামান বলেন, “এ পযন্ত ভোটের পরিস্থিতি ভালো। ভোটও শান্তিপূর্ণ হচ্ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতিও বাড়ছে।”
তিনি জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে হচ্ছে। হাতে ভোটার স্লিপ ও জাতীয় পরিচয়পত্র রাখার বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে ভোটারদের। মাস্ক পরা ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
এই নির্বাচনে নির্বাচন নিয়ে নানা উত্তেজনা ও টানাপোড়েন থাকলেও এ পর্যন্ত অপ্রীতিকর কোনো ঘটনার সংবাদ মেলেনি।
আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপি এ নির্বাচনে নেই। তবু সরকারি দলের প্রার্থী আইভীর সঙ্গে ভোটে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছেন বিরোধী শিবিরের তৈমুর আলম। ফলে এ নির্বাচনে ভোটের ফল কী হয়, তা নিয়ে স্নায়ুচাপও আছে রাজনীতিতে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র হতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট সাতজন প্রার্থী। আর ২৭টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদপ্রার্থীর সংখ্যা ১৪৮ জন। আর ৯টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রার্থীর সংখ্যা ৩২।
তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বীতা মেয়র পদ ঘিরে। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী টানা দুই বারের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকারের মধ্যেই মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
নির্বাচনে নেমে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পদ হারানো তৈমূর ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। পরে দলের নির্দেশে ভোট থেকে সরে দাঁড়ান। তবে বিএনপির এই নেতা এবার দলীয় নির্দেশ অমান্য করেই ভোটের মাঠে নেমেছেন। আছেন প্রথমবারের মতো নারায়ণগঞ্জের নগরপিতা হওয়ার আশায়।