অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

শ্রীলঙ্কার হাতিগুলো ভালো নেই

অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ০২:৪৬ পিএম, ১৫ জানুয়ারি ২০২২ শনিবার  

শ্রীলঙ্কার একটি ওয়েস্ট ডাম্প-এ হাতি মরে পড়ে আছে

শ্রীলঙ্কার একটি ওয়েস্ট ডাম্প-এ হাতি মরে পড়ে আছে

গত সপ্তাহে শ্রীলঙ্কায় আরও দুইটি হাতির মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। এ হাতিগুলো প্লাস্টিকের বর্জ্য খেয়ে মারা গেছে।

এ নিয়ে শ্রীলঙ্কার আম্পারা জেলার পাল্লাক্কাডু গ্রামে অবস্থিত প্লাস্টিকের আস্তাকুঁড় থেকে বর্জ্য খাওয়ার ফলে গত আট বছরে ২০টি হাতি মারা গিয়েছে।

খোলা জায়গায় এভাবে প্লাস্টিকের বর্জ্য পড়ে থাকার কারণে নিয়মিতই হাতির মৃত্যু ঘটছে দেশটিতে। এ নিয়ে সংরক্ষণবাদী ও ভেটেরিনারি চিকিৎসকরা বারবার সতর্ক করেছেন। সম্প্রতি মৃত হাতিগুলো পরীক্ষা করে দেখা গেছে সেগুলো বিশাল পরিমাণে অপচনযোগ্য প্লাস্টিক খেয়ে ফেলেছিল। এ প্লাস্টিকের মধ্যে আছে পলিথিন, খাবারের মোড়ক, বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিকের তৈরি বস্তু ইত্যাদি।

শ্রীলঙ্কায় হাতির প্রতি যথেষ্ট সম্মান প্রদর্শন করে সেখানকার মানুষ। কিন্তু তারপরও দেশটিতে হাতির সংখ্যা ক্রমেই কমে আসছে। ১৯ শতকে দেশটিতে হাতি ছিল ১৪ হাজারের মতো। ২০১১ সালে এসে এ সংখ্যা ৬০০০-এ নেমেছে।

দেশটিতে হাতির প্রাকৃতিক আবাসস্থল ক্রমেই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ফলে খাবারের জন্য প্রায়ই হাতি মানুষের আবাসস্থলের কাছে চলে আসে। এতে অনেক সময় মানুষের হাতে মারা পড়ে হাতি। আর চোরাশিকারিরাতো রয়েছেই।

দেশটির একজন বন্যপ্রাণী চিকিৎসক নিহাল পুষ্পকুমার বলেন, ক্ষুধার্ত হাতিগুলো বর্জ্যের ভাগাড়ে খাবার খুঁজে বেড়ায়। তখন এগুলো প্লাস্টিক খেয়ে ফেলে। কিছু হাতির পেটে ধারালো বস্তুও চলে যায়। এতে এগুলোর খাদ্যনালীনহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এরপর হাতিগুলো আর খেতে পারে না। অতিরিক্ত দুর্বলতার কারণে এগুলো নিজেদের শরীরের ভর নিয়ে আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। ফলে খাবার আর পানি পান একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। তারপর ধুঁকে ধুঁকে মারা যায় হাতিগুলো।

২০১৭ সালে দেশটির সরকার ঘোষণা দিয়েছিল যে এটি বন্যপ্রাণীর এলাকার আশেপাশের বর্জ্য রিসাইকেলের ব্যবস্থা করবে। এছাড়া ভাগাড়গুলোকে বৈদ্যুতিক বেড়া দিয়ে ঘিরে দেওয়ারও পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু কোনোটিই শেষ পর্যন্ত পুরোপুরি কার্যকর হয়নি। দেশটির বন্যপ্রাণী বিচরণ এলাকায় ৫৪টি ওয়েস্ট ডাম্প রয়েছে, যেগুলোর আশেপাশে ৩০০ হাতি চরে বেড়ায়।

দ্য গার্ডিয়ান অবলম্বনে।