অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

আমেরিকায় মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে, ১৯৮২ সালের পর সর্বোচ্চ

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৩০ পিএম, ১২ জানুয়ারি ২০২২ বুধবার   আপডেট: ১১:০৯ এএম, ১৩ জানুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারগুলোতে ভোগ্য পণ্যের দাম গত ডিসেম্বর মাস নাগাদ বেড়ে ৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ১৯৮২ সালের পর এই প্রথম এত বেশি হারে ভোগ্য পণ্যের দাম বাড়লো।

মুদ্রাস্ফীতির এই উচ্চ হার বাইডেন প্রশাসনে বড় ধরনের নাড়া দিয়েছে। নীতিনির্ধারকরা নড়েচড়ে বসেছেন।

এদিকে ভোক্তাদের অনাস্থা বেড়েই চলেছে, ধারণা করা হচ্ছে, এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে দেশটির অর্থনীতির ভবিষ্যতের উপর কালো ছায়া পড়বে। বাড়বে অনিশ্চয়তা।

ডিসেম্বরে মুদ্রাস্ফীতি সূচক ৭ শতাংশ ছুঁয়েছে, বিশেষ করে খাদ্য ও জ্বালানি জ্বর বেড়ে যাওয়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এর আগে ১৯৮২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতির সূচক ৭ শতাংশে পৌঁছেছিলো।

নীতিনির্ধারকরা গত কয়েক মাস ধরেই অপেক্ষা করেছিলেন, প্রত্যাশায় ছিলেন সাপ্লাই চেনে কিছুটা স্বাভাবিকতা ফিরবে, কোম্পানিগুলো ভোক্তা চাহিদামত সরবরাহ বাড়াতে পারবে। কিন্তু পরিবর্তে যা হয়েছে তা হচ্ছে, করোনাভাইরাস এর একের পর এক ঢেউ এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে লকডাউন সকল শিপিং রুটগুলোকে স্থবির করে রেখেছে, কারখানাগুলো বন্ধ থেকেছে, আন্তর্জাতিক বাজারগুলো থেকে পণ্য আনা-নেয়া বন্ধ রয়েছে এখনো স্বাভাবিকতা পায়নি। এমনটা চলতে থাকলে, এর পরে কি হবে সেটাই যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে ২০২২ সালের সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াবে।

৭ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি নিঃসন্দেহে একটি বড় ধাক্কা, গবেষণা সংস্থা ইনফ্লেশন ইনসাইট এর প্রতিষ্ঠাতা ওমর শরীফ কে এভাবেই উদ্ধৃত করে এ সংক্রান্ত খবরে জানিয়েছে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস। 

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। নীতিনির্ধারকদের চাহিদামত মূল্যস্ফীতি ২ শতাংশে নামিয়ে আনতে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে বলে মনে করছেন এই গবেষক।