অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

খুলে গেল পার্বত্য চট্টগ্রামের স্বপ্নের চেঙ্গী সেতু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, রাঙামাটি

প্রকাশিত: ০২:৩০ পিএম, ১২ জানুয়ারি ২০২২ বুধবার   আপডেট: ০৩:৫৯ পিএম, ১২ জানুয়ারি ২০২২ বুধবার

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসানের পর চালু হলো রাঙামাটির কাপ্তাই লেকে চেঙ্গী নদীর ওপর নির্মিত ৫০০ মিটারে সেতু

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসানের পর চালু হলো রাঙামাটির কাপ্তাই লেকে চেঙ্গী নদীর ওপর নির্মিত ৫০০ মিটারে সেতু

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসানের পর চালু হলো রাঙামাটির কাপ্তাই লেকে চেঙ্গী নদীর ওপর নির্মিত ৫০০ মিটারের সেতু। বুধবার (১২ জানুয়ারি) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নানিয়ারচর উপজেলার এই সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়নের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাসুদুর রহমান, গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার মো. কামাল মামুন ও ইসিবির ২০ কর্মকর্তাসহ জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে সেতুটি চালু হওয়ায় খুশি পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ। তাদের মতে, দুর্গম এ অঞ্চলের তিন উপজেলার মানুষের মধ্যে বন্ধন গড়ে তুলবে সেতুটি।

স্থানীয়রা বলছেন, চেঙ্গী সেতুর সুফল ভোগ করবে নানিয়ারচরের প্রায় ৭০ হাজার মানুষ। সেতুটি চালু হওয়ায় যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি এখানকার মানুষের শিক্ষা, চিকিৎসা ও আর্থসামাজিক উন্নয়নও বাড়বে। পর্যটন খাতেও এর প্রভাব পড়বে সরাসরি।

নানিয়ারচর সেতু প্রকল্প অফিস সূত্রে জানা যায়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে সেতুটি বাস্তবায়নের দায়িত্বে ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার্স কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন (ইসিবি) ইউনিট।

তাদের মতে, সেতুটির সংযোগ সড়ক নির্মিত হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে রাঙামাটি থেকে লংগদু-বাঘাইছড়ি শুরু করে মেঘের রাজ্য সাজেক ভ্যালিসহ খাগড়াছড়ি জেলায়ও যাওয়া যাবে।

সেতু প্রকল্পের প্রকল্প কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নানিয়ারচরের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০২১ সালের জুনে নির্মাণকাজ শেষ হয়।

এটি পার্বত্য চট্টগ্রামের সবচেয়ে দীর্ঘ সেতু। এর দৈর্ঘ্য ৫০০ মিটার এবং প্রস্থ ৯.৮ মিটার। এ প্রকল্পে মোট বাজেট ২২৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এ ছাড়া সেতুর সংযোগ সড়ক রয়েছে ২.২ মিটার। এ সড়কের প্রস্থ ৭.৯ মিটার।

নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রগতি চাকমা বলেন, ‘সেতুটি চালু হওয়ায় এখন সহজেই মানুষ কৃষিপণ্য বিভিন্ন জায়গায় বাজারজাত করতে পারবে। এটি চালু হওয়ায় শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায় অনেক সুবিধা পাবে নানিয়ারচরবাসী। একই সঙ্গে পর্যটকদের অনেক সময় বাঁচবে।’