অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

বিশ্বনেতাদের যত অদ্ভুত ডাকনাম

সাতরং ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৬:৫৮ পিএম, ২ ডিসেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার   আপডেট: ০৭:১৮ পিএম, ২ ডিসেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার

বিশ্বনেতাদের রয়েছে অদ্ভুত সব ডাকনাম

বিশ্বনেতাদের রয়েছে অদ্ভুত সব ডাকনাম

সম্প্রতি ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ এক ব্যক্তিগত কথোপকথনের সময় যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে 'ভাঁড়' ডেকেছেন বলে খবর প্রকাশ করেছে ফরাসি সংবাদপত্র 'লো কানা হশেনে'। পত্রিকাটির প্রতিবেদন অনুযায়ী মাখোঁ নাকি বলেছেন, "(যুক্তরাজ্যের মতো) একটা বড় দেশ, যাদের সাথে আমরা কত কাজ করতে পারতাম, পরিচালিত হচ্ছে একজন ভাঁড় দ্বারা। এটা দুঃখজনক।'

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতাদের এরকম অনেক মজার মজার ডাকনাম আছে। আর যা-ই হোক, দিনশেষে তারাও আমাদের মতোই রক্তমাংসের মানুষ। তাই আমাদের যদি দু'চারটা অদ্ভুতুড়ে, ক্ষেত্রবিশেষে অশ্রাব্য ডাকনাম জুটে যেতে পারে, তাহলে তাদের জুটবে না কেন?

তবে আমাদের ডাকনাম বন্ধুদের দেওয়া হলেও তাদের এ নামগুলো পাওয়া হয় তাদের মতোই আর সব রাষ্ট্রপ্রধান, বড় বড় নেতাদের কাছ থেকে। আমজনতাও তো তাদের অনেক নামেই ডাকে, গালভরা গালি দিয়েও সম্বোধন করে, কিন্তু সেগুলোর চেয়ে তাদের সমশ্রেণীর মানুষজন যে নামে ডাকে তা-ই বেশি জনপ্রিয় হয়। দ্য আটলান্টিক-এর সৌজন্যে জেনে নেওয়া যাক জনপ্রিয় ডাকনামগুলো।

বাবা গো স্লো: নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি'র ডাকনাম এটা। নিজের মন্ত্রীসভার সব মন্ত্রীর নাম ঘোষণা করতে যারপরনাই সময় নিয়েছিলেন বলে এ নাম জুটে যায় তার কপালে।

বিগ ড্যাডি শি: চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর জন্য এ নাম রেখেছে ভক্ত ও গণমাধ্যম। তার ব্যক্তিত্ব, ক্ষমতা ইত্যাদির কারণেই এমন নাম জুটেছে বলে ধারণা করা হয়।

কিম ফ্যাটি থ্রি: নিদারুণ বডিশেমিং! উত্তর কোরিয়ায় অবশ্যই কারও পক্ষে কিম জং উন-কে এ নামে ডাকা সম্ভব নয়। দেশটির অনুযোগের পর কিমের এ নাম চীনেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

মমি: জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলকে নিয়ে মজা করতে এ নাম দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার ভক্তরা 'মুটি' বা 'মমি' ডাকনামটিকে স্বাগতই জানিয়েছিল।

লিটল পটেটো: চীনে অনেক জনপ্রিয় সব ডাকনামের জন্ম হয়েছে। কানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে 'লিটল পটেটো' বলে ডাকা হতো চীনে। মান্দারিন ভাষায় 'ছোট গোল আলু' শব্দটি অনেকটা নাকি 'ট্রুডো'র মতোই শোনায়।

পাপেট মাস্টার: মার্কিনীদের ২০১৬ সালের নির্বাচনে ঘোট পাকানোর জন্য পুতিন পেয়েছিলেন 'পাপেট মাস্টার'-এর 'সম্মাননা'। এছাড়া জর্জ বুশ পুতিনকে 'পুটি পুট' বলে ডাকতেন। কেজিবিতে কাজ করার সময় পুতিনকে 'পেল মথ' বলে ডাকা হতো বলে কথিত আছে।