অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

আমিনবাজারে হত্যাকাণ্ড: দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি ভুক্তভোগী পরিবারের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০১:৫৪ পিএম, ২ ডিসেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার   আপডেট: ০১:৫৯ পিএম, ২ ডিসেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার

রায়ের পর কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে আসামীদের।

রায়ের পর কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে আসামীদের।

সাভারের আমিন বাজারে ছয় ছাত্রকে ডাকাত সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার মামলায় ১৩ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ইসমত জাহান এ রায় ঘোষণা করেন। এছাড়া, অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় ২৫ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

রায়ে কি হয় তা শুনতে সকালের দিকে আদালতে উপস্থিত হন ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। রায় শুনে কেঁদে ফেলেন অনেকেই। তবে রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তারা। রায় যেন দ্রুত কার্যকর হয় ও উচ্চ আদালতে বহাল থাকে সেই দাবি জানান তারা।

টিপু সুলতানের মা কাজী নাজমা সুলতানা বলেন, সব আসামির ফাঁসি আশা করেছিলাম। তাহলে আরও খুশি হতাম। তবে এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ঠ। এতদিন কষ্ট পেয়েছি। যতদিন বেঁচে থাকবো কষ্ট পাবো। তারপরও যে সাজা দিয়েছে তাতে শুকরিয়া আদায় করি। এসময় কান্নায় ভেঙে পড়েনি তিনি।

আমার আর কিছু বলার নেই। তবে চাই দ্রুততার সাখে যেন ফাঁসি কার্যকর হয়। যত দ্রুত ফাঁসি কার্যকর হবে, দেখতে পেলে খুশি হবো।

পলাশের বাবা মজিবুর রহমান বলেন, ন্যায়বিচার পেয়েছি। তবে রায় যেন দ্রুত কার্যকর হয়।

ইব্রাহিম খলিলের বাবা আবু তাহের বলেন, রায়ে আমরা সন্তুষ্ঠ। দোষীদের সাজা হয়েছে। তবে আশা, রায়টা যেন দ্রুত কার্যকর করা হয়।

সংশ্লিষ্ট আদালত এডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর আনন্দ চন্দ্র বিশ্বাস রায়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করে বলেন, এই মামলায় ৯১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫৪ জন সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করা হয়েছে। আর ১৪ জন আসামি ১৬৪ করেছিলো। সব কিছু বিবেচনা করে মাননীয় আদালত সুন্দর সুচিন্তায় এই রায় ঘোষণা করেছেন। খালাসও দিয়েছেন ২৫ জনকে। সাজা দিয়েছে ৩২ জনকে।  পূর্ণাঙ্গ রায় বাহির হলে আদেশ পর্যালোচনা শেষে খালাস আসামিদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিলে যেতে পারি। একটা চাঞ্চল্যকর মামলায় যুগান্তকারী রায় দিয়েছেন আদালত। 

এদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী শিউলী আক্তার খান ও শেখ সিরাজ উদ্দিন বলেন, আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবো। রায়ে ন্যায় বিচার হয়নি। এই মামলায় কোন চাক্ষুষ সাক্ষী নেই। এই সাজা উচ্চ আদালতে টিকবেনা। মামলার তদন্ত ঠিকমত সম্ভব হয়নি। রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি টোটালি প্রমান করতে ব্যর্থ হয়েছে। উচ্চ আদালতে গেলে আসামিরা খালাস পাবেন বলে আশা করেন আইনজীবীরা।