অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

বিশ্বে একদিনে মৃত্যু ৮ হাজারের বেশি, শনাক্ত সাড়ে ৬ লাখ

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:০৬ এএম, ২ ডিসেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার  

বিশ্বের দেশে দেশে টিকাকরণের হার বেড়ে যাওয়ায় পর করোনার প্রকোপ কিছুটা কমেছিল। হঠাৎ কয়েক দিন তা আবার লাগামহীন হয়ে পড়ে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার তাণ্ডব কিছুটা বেড়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮ হাজার ১৭৬ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে পাঁচ শতাধিক। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫২ লাখ ৪১ হাজার ৫৪১ জনে।

একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৫৯ হাজার ১৪২ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ৮০ হাজারের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ কোটি ৩৭ লাখ ১৪ হাজার ৪৯৪ জনে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১৮ হাজার ৮৬৮ জন এবং মারা গেছেন ১ হাজার ৬০৬ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪ কোটি ৯৫ লাখ ৭১ হাজার ৫৪৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৮ লাখ ৪ হাজার ৯৭৭ জন মারা গেছেন।

অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে রাশিয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ২২৬ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩২ হাজার ৮৩৭ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯৬ লাখ ৬৯ হাজার ৭১৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৪১৯ জনের।

এছাড়া জার্মানিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭১ হাজার ৮৮৭ জন এবং মারা গেছেন ৪১৫ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৫৯ লাখ ৫৩ হাজার ৩১০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ২ হাজার ৫৫২ জন মারা গেছেন।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাজ্যে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ হাজার ৩৭৪ জন এবং মারা গেছেন ১৭১ জন। একই সময়ের মধ্যে ইউক্রেনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৯৬০ জন এবং মারা গেছেন ৫৫৭ জন।