রামপুরায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু মামলায় সুপারভাইজার-হেলপার রিমান্ডে
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০৬:৩৩ পিএম, ১ ডিসেম্বর ২০২১ বুধবার
রামপুরায় বাসের চাপায় শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন ইসলাম নিহতের মামলায় অনাবিল পরিবহনের সুপার ভাইজার ও হেলপারের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন, সুপার ভাইজার গোলাম রাব্বী ওরফে বিন রহমান ও হেলপার চাঁন মিয়া।
বুধবার (১ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত এ আদেশ দেন।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রামপুরা থানার সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) মোহাম্মদ আল আমিন মীর সড়ক পরিবহন আইনে করা মামলায় দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
এদিকে একই ঘটনায় বাসে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুরের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় শহীদ বেপারী নামে এক আসামির এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন একই আদালত। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রামপুরা থানার সাব-ইন্সপেক্টর তৌহিদুল ইসলাম এ আসামির সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, আসামিরা ঘাতক বাস অনাবিল সুপার ঢাকা মেট্রো ব-১৫-০৮৫৬ গাড়ীর সুপারভাইজার ও হেলপার। ওই গাড়ীর ড্রাইভার আসামি মো. সোহেল অজ্ঞান অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গত ২৯ নভেম্বর রাত ১১ টার দিকে মাইনুদ্দিন পূর্ব রামপুরাস্থ মেইন রাস্তা পারাপারের সময় বাড্ডার দিক থেকে মালিবাগের দিকে যাওয়া এই বাসটি দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে চালিয়ে তাকে ধাক্কা দেয়। এরপর তার ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে চলে যায়। এতে মাইনুদ্দিন ঘটনাস্থলেই মারা।
জানা যায়, গত ২৯ নভেম্বর রাত ১১টার দিকে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় অনাবিল সুপার পরিবহনের বাসের চাপায় মাইনুদ্দিন নিহত হয়। এ ঘটনায় রাতে সড়ক অবরোধ করে উত্তেজিত জনতা। এ সময় ঘাতক বাসসহ আটটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় আরও চারটি বাস। মাইনুদ্দিন নিহতের ঘটনায় তার মা রাশিদা বেগম সড়ক দুর্ঘটনা আইনে মামলা করেন।