অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

বাবর আজমদের বিরুদ্ধে করা মামলার আবেদন খারিজ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৩:৩০ পিএম, ২৫ নভেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার  

রাষ্ট্র বা সরকারের অনুমতি না নিয়ে পাকিস্তানি পতাকা উত্তোলনের অভিযোগে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের বিরুদ্ধে করা মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আল মামুন এই আবেদন করেছিলেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর ছিদ্দিক এই আবেদন খারিজ করেন।

মামলার আবেদনের যাদের অভিযুক্ত করা হয়- পাকিস্তান ক্রিকেট টিমের অধিনায়ক মোহাম্মদ বাবর আজম, কোচ সাকলাইন মোস্তাক, ম্যানেজার মনসুর রানা, শাদাব খান, ফখর জামান, আসিফ আলী, হায়দার আলী, হ্যারিস রউফ, হাসান আলী, ইফতেখার আহমেদ, ইমাদ ওয়াসিম, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ নওয়াজ, মোহাম্মদ রিজওয়ান, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, সরফরাজ আহমেদ, শাহিন শাহ আফ্রিদি, শোয়েব মালিক, শাহনেওয়াজ দাহানি, ওসমান কাদির ও শহীদ আসলাম।

মামলার আবেদনের অভিযোগ থেকে জানা যায়, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আতিথেয়তার সুযোগে স্বাগতিক দেশে এসে প্রথম দিনেই পাকিস্তান ক্রিকেট দল বিধিবিধান ও আইন লঙ্ঘন করে নিজ দেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও উড়িয়ে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন ভঙ্গ করেছে।

বিভিন্ন পত্রিকার উদ্ধৃতি দিয়ে অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা ক্রীড়া-কসরত প্রদর্শনের নামে অসৎ উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ঢাকার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গত ১৫ নভেম্বর সকাল ১১টার দিকে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা উড়িয়ে খেলায় লিপ্ত হয়। তাদের এমন ধৃষ্টতামূলক কর্মকাণ্ড দেশের প্রচলিত আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ। তা সত্ত্বেও আসামিরা মাঠে বিদেশি পতাকা স্থাপন করে ও উড়িয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংহতিকে দুর্বল ও ধ্বংসের হীন চেষ্টায় লিপ্ত থেকে দণ্ডনীয় অপরাধ করেছে।

তারা স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বকে খাটো করার ব্যর্থ প্রত্যয়ে এমন হীন কাজ করেছে বলে মনে করেন বাদী।

এ ঘটনায় আল মামুন শাহবাগ ও মিরপুর মডেল থানায় মামলা করতে যান। থানা কর্তৃপক্ষ মামলা না নিয়ে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী এদিন তিনি আদালতে মামলার আবেদন করেছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করেন বাদী।

আসামিরা বিদেশি নাগরিক। যেকোনো সময় বাংলাদেশ ছাড়ার সম্ভবনা রয়েছে। তাই মামলার অভিযোগ আমলে গ্রহণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন আল মামুন।