সরকার কৃত্রিমভাবে কুমিল্লার ঘটনা ঘটিয়েছে

সরকার কৃত্রিমভাবে কুমিল্লার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সোমবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে শেরেবাংলা নগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও জিয়ারত শেষে রুহুল কবির রিজভী এ মন্তব্য করেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, করোনায় ব্যর্থতা, মানুষের সুচিকিৎসা দিতে ব্যর্থতা, নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যর্থতা, এবং দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন যে ঊর্ধ্বগতি, তা মোকাবেলা করতে না পেরে সরকার কৃত্রিমভাবে কুমিল্লার ঘটনা ঘটিয়েছে, যাতে মানুষের দৃষ্টি ওই দিকে যায়। মানুষ যেন ওটা নিয়েই পড়ে থাকে, সরকারের এ সব ব্যর্থতা যেন মানুষ আলোচনা করতে না পারে। অর্থাৎ, সরকার তার নীলনকশা অনুযায়ী কাজ করছে।

রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, ‘আজকে ভয়-ভীতি, শঙ্কার যে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি, সেটা সরকার সৃষ্টি করেছে। অত্যন্ত কৃত্রিমভাবে এ নৈরাজ্য সৃষ্টি করে সারা দেশের মানুষের মধ্যে এক ধরনের ভীতি সৃষ্টি করেছে।’

এ ছাড়া বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘আমরা এমন এক পরিস্থিতির মধ্যে বাস করছি, এখানে কিসের মানবসেবা? আজকে করোনা মহামারিতে মানুষ আর্তনাদ করছে। বিনা চিকিৎসায় বিভিন্ন হাসপাতালে মানুষের জীবন চলে যাচ্ছে। ঢাকার দু-একটা হাসপাতাল ছাড়া মানুষ ওষুধ পাচ্ছে না, চিকিৎসা সরঞ্জাম পাচ্ছে না। ঢাকার অবস্থা বিপন্ন, ঢাকার বাইরে মফস্বলের অবস্থা ভয়ংকর। সেটা মোকাবিলা করার ক্ষমতা এ সরকারের নেই। সুতরাং জনগণের দৃষ্টিকে অন্যদিকে প্রবাহিত করার জন্য এমন কোনো অমানবিক কাজ নেই যা এই সরকার করছে না।’

রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, ‘আজকে মানুষের নিরাপত্তা নেই। সংখ্যালঘুরা নিরাপদ জীবন যাপন করতে পারছে না। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে তারা জীবন-যাপন করছেন। আর অন্যদিকে, পবিত্র কোরআন অবমাননা হচ্ছে। আপনারা কুমিল্লার পূজামণ্ডপের অবস্থা দেখেছেন। সরকার নাকি সমস্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারে। তাহলে এ ধরনের একটি ঘটনা কীভাবে ঘটল?’

রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, ‘আজকে যারা সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা বিভাগ, তারা বিএনপির নেতাকর্মী মাটির পাতালে থাকলেও তাদের খুঁজে বের করে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠাচ্ছে। আর কুমিল্লা, হাজীগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এত বড় ঘটনা ঘটে গেল, সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা কিছুই বলতে পারল না।’

সরকারের মন্ত্রীরা একের পর এক আজেবাজে কথা বলে, মিথ্যাচার করে সমাজের মধ্যে বিভেদ-বিভাজন সৃষ্টি বলছে বলেও অভিযোগ করেছেন রুহুল কবীর রিজভী।