অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

চুরি দেখে ফেলায় শিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা

সাভার করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০২:৫৩ পিএম, ১৮ অক্টোবর ২০২১ সোমবার   আপডেট: ০২:৫৩ পিএম, ১৮ অক্টোবর ২০২১ সোমবার

আশুলিয়ায় চুরির ঘটনা দেখে ফেলায় এক শিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক বাস স্ট্যাফের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বাসের আরেক স্টাফকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ১১টায় এসব তথ্য জানান আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সামিউল ইসলাম।

নিহত শিশু মো. ফেরদৌস (১১) শেরপুর জেলার সদর থানার মুন্সিপাড়া গ্রামের বাসচালক রইচ উদ্দিনের ছেলে। সে আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ বালুর মাঠ এলাকায় পরিবারের সাথে ভাড়া বাসায় থেকে আশুলিয়া ক্ল্যাসিক পরিবহনে কাজ করতো।

গতকাল, রবিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে আশুলিয়ার বাইপাইল তাকে হত্যা করা হয়। ভোর সাড়ে ৪টার দিকে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকা থেকে ফেরদৌসের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত শিশুর বড় বোন রুবিনা বেগম বলেন, দীর্ঘ দিন ধরেই আশুলিয়া ক্ল্যাসিক পরিবহনের চালক হিসেবে কাজ করছে বাবা রইচ উদ্দিনের। ছোট ভাই ফেরদৌস একটু চঞ্চল প্রকৃতির হওয়ায় তিন দিন আগে তাকে আশুলিয়া ক্ল্যাসিক পরিবহনে কাজে পাঠায়। 

পুলিশ জানায়, রাত ১২ টার দিকে রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর থেকে বাস নিয়ে বাইপাইল পৌঁছায়। পরে গাড়ির মধ্যে কন্ডাক্টর হৃদয় ও হেলপার পারভেজ ঘুমিয়ে পড়েন। এসময় শিশু ফেরদৌস গাড়িতেই ছিলো। 

ঘুম ভাঙলে পকেট থেকে ৫০০ টাকা হারিয়েছে দাবি করেন হৃদয়। টাকাটা পারভেজ চুরি করেছে বলে জানায় শিশু ফেরদৌস। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে পারভেজ ও হৃদয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এসময় পারভেজকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন হৃদয়। পরে ক্ষিপ্ত হয়ে পারভেজ শিশু ফেরদৌসকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। 

পরে তারা দুজন মিলেই নিহত ফেরদৌসের লাশ সড়কে ফেলে রেখে পুলিশকে দুর্ঘটনার খবর দেয়। সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশ প্রথমে ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও মরদেহে দুর্ঘটনার কোন চিহ্ন না পাওয়ায় বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করে। পরে ভোর রাতে আশুলিয়া থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। এসময় হৃদয়কে আটক করা গেলেও পারভেজ পালিয়ে যায়। 

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সামিউল ইসলাম বলেন, রাতেই এঘটনায় আশুলিয়া ক্ল্যাসিক পরিবহনের কন্ডাক্টর হৃদয়কে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে ৫০০ টাকা চুরির ঘটনা দেখে ফেলায় ফেরদৌসকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।