অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

বিচারক ও পিপির নামে টাকা হাতিয়ে আইনজীবি লাপাত্তা

মালিকুজ্জামান কাকা, যশোর 

প্রকাশিত: ০৪:১৪ পিএম, ১৭ অক্টোবর ২০২১ রোববার  

যশোরে একটি আদালতের বিচারক ও পিপির (সরকারি আইনজীবী) নাম ভাঙিয়ে ৫৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে  এক আইনজীবির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জেলা আইনজীবী সমিতিতে পৃথক দুইটি অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযুক্ত ঐ আইনজীবি পলাতক রয়েছেন। 

জানা যায়, ঝিকরগাছা উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে রায়হানের বিরুদ্ধে স্ত্রী জান্নাতুন নাহার চলতি বছরের ২৬ এপ্রিল আদালতে একটি মামলা করেন। মামলা নং- ২১। ওই মামলায় মাস দেড়েক পর রায়হান আটক হয়। 

এরপর গত ৭ জুন যশোর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজত খানায় থাকা অবস্থায় স্বপন বিশ্বাস নামে একজন নিজেকে আইনজীবি পরিচয় দিয়ে রায়হানের ওকালত নামায় স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এরপর তিনদিনের মধ্যে জামিন করিয়ে দেবে বলে রায়হানের পরিবারের কাছ থেকে ১১ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। কিন্তু তিনি জামিন করতে ব্যর্থ হন।

পরবর্তীতে জামিনের জন্য রায়হানের পরিবারকে বিচারক ও পিপিকে ঘুষ দিতে হবে বলে আরও ৬০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে রায়হানের পরিবারকে জিম্মি করে নানা ধরণের হুমকি ধামকি দেয়। একপর্যায় রায়হানের পরিবার কথিত আইনজীবি স্বপনকে আরও ৪৭ হাজার টাকা দেন। কিন্তু পরে জানতে পারেন তারা প্রতারকের ফাঁদে পড়েছেন। 

গত ২৭ জুন অন্য একজন আইনজীবির মাধ্যমে রায়হান জামিনে বের হন। পরে কারামুক্তি হয়ে জানতে পারেন স্বপন বিশ্বাস যশোর জেলা আইনজীবি সমিতির সদস্য না। মূলত রায়হানের বাবা ও ভাইয়ের সাথে প্রতারণা করে স্বপন ৫৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এরপর খোয়া যাওয়া টাকা ফেরত পেতে তিনি ২৯ জুন যশোর জেলা আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন। এরপর চলতি মাসের প্রথমে আইনজীবি সমিতির টাউট উচ্ছেদ কমিটির বরাবর একটি অভিযোগ দেন রায়হান। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তার সমাধান মেলেনি। রায়হান বলেন, স্বপনকে এখন খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। মোবাইলে কল করলেও তিনি ধরেন না।

এ বিষয়ে যশোর জেলা আইনজবী সমিতির সভাপতি কাজী ফরিদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর স্বপন বিশ্বাসকে ১৬ আগস্ট সমিতির অফিসে ডাকা হয়। কিন্তু টাকার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। আইনজীবি পরিচয় দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন স্বপন নওগা জেলা আইনজীবি সমিতির সদস্য। তিনি যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হতে বার কাউন্সিলে আবেদন করেছেন। এরপর স্বপনকে ১৮ আগস্টের মধ্যে বার কাউন্সিলের সনদের ফটোকপি, সনদ প্রাপ্তির পর কোন বারের সদস্য ছিলেন তার প্রমাণাদি ও যশোর বারের সদস্য ভুক্তির জন্য আবেদন পত্রের ফটোকপি জেলা আইনজীবি সতিতিতে জমা দেয়ার জন্য বলা হয়। কিন্তু স্বপন এখনো তা জমা দেননি। এরপর থেকে তাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না।