অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

‘বৃত্ত ভাঙার’ মিশনে টাইগারদের প্রথম চ্যালেঞ্জ স্কটল্যান্ড

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:০৫ পিএম, ১৭ অক্টোবর ২০২১ রোববার  

টি-টোয়েন্টি যাত্রা শুরুর পর ধারণা করা হয়েছিল এই ফরম্যাটেই সবচেয়ে ভালো করবে বাংলাদেশ। ব্যাটসম্যানদের মারকাটারি স্বভাবের কারণেই মূলত এমন ধারণার উদ্ভব। প্রথম বিশ্বকাপ যাত্রাটুকুও হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে। কিন্তু তারপরেই দিশেহারা পথিক হয়ে আছে টাইগাররা। পরের পাঁচ বিশ্বকাপে ধরা দেয়নি আর কোন সাফল্য। 

ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতে বেশ কয়েকবারই শোনা গেছে এই পরাজয়ের বৃত্ত ভাঙার প্রত্যাশা। প্রথম রাউন্ড নামক বাছাইপর্ব পেরিয়ে চোখ রাখা হচ্ছে আরও দূরে। আর সে লক্ষ্যে আজ ওমানের মাস্কটে মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদদের প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড। 

জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে ওমান পাড়ি দেয়া হলেও প্রস্তুতি ম্যাচের পারফরম্যান্স হতাশ করেছে সমর্থকদের। শ্রীলঙ্কা আর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে অবশ্য ছিলেন না অধিনায়ক নিজেই। অলরাউন্ডার সাকিব আর হাসান ছিলেন আইপিএলে। মোস্তাফিজুর রহমান খেলেছেন এক ম্যাচ। তাই প্রস্তুতি ম্যাচে হারকে একরকম পাত্তাই দিচ্ছেননা টাইগার কাপ্তান 

ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে রিয়াদ জানান, “আমরা প্রস্তুতি ম্যাচ দুটি হেরেছি, তবে আমার মনে হয় ওটা কোনো প্রভাব ফেলবে না। আগামীকালের ম্যাচের জন্য আমরা প্রস্তুত। দলের আত্মবিশ্বাস আগের মতোই আছে। আশা করি, আমরা আমাদের সেরা ক্রিকেটটাই খেলতে পারব।

“আমরা জানি, প্রস্তুতি ম্যাচে আমরা কোন জায়গায় ভুল করেছি। আমাদের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় খেলেনি এবং আমার মনে হয়, প্রস্তুতি ম্যাচের ফলাফল আমাদের ওপর মানসিকভাবে প্রভাব ফেলবে না। আমরা খুবই ইতিবাচক আছি।”

বাংলাদেশ অধিনায়ক আরও বলেন,“আমরা আপাতত প্রথম রাউন্ড নিয়েই চিন্তা করছি। এই রাউন্ডে ভালো ক্রিকেট খেলে সবগুলা ম্যাচ জিতে যদি পরের রাউন্ডে যেতে পারি, তখন আরও ভাবব। একটা কথা বলেছিলাম, বেশ কয়েকটা ধাপ আমাদের পার করতে হবে আমাদের। কিছু প্রতিবন্ধকতা আছে, যা আমরা ভাঙতে চাই। যত বেশি সম্ভব ম্যাচ জিততে চাই। এই ব্যাপারগুলো আমাদের মাথায় আছে এবং আমরা ধাপে ধাপে এগোতে চাই।”

এদিকে র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ ছয় আর স্কটল্যান্ড ১৫ তম স্থানে থাকলেও হুমকি দিয়ে রেখেছেন স্কটল্যান্ড কোচ শেন বার্গার।  সরাসরি বলে দিয়েছেন, বাংলাদেশকে আমরা বড় করে দেখছি না। 

টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হওয়া একমাত্র ম্যাচের ফলাফলও তাদের পক্ষেই কথা বলছে। ২০১২ সালে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল ৩৪ রানে। স্কটল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করে সংগ্রহ করে ১৬২ রান। রিচি বেরিংটন করেন ১০০ রান। জবাবে বাংলাদেশ ১৮ ওভারে অলআউট হয়ে যায় ১১৮ রানে। 

সেই রিচি বেরিংটনের পাশাপাশি এবার আছেন কাইল কোয়েটজার, জর্জ মানজি, ক্যালাম ম্যাকলাউডদের মতো ব্যাটসম্যান। তাদের বোলিং গভীরতাও অনেক। ফিল্ডিং তো বরাবরই দুর্দান্ত। তাই আত্মবিশ্বাস ছিল সিনিয়র ক্রিকেটার ক্যালাম ম্যাকলাউডের কণ্ঠে। 

“বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ফর্ম খুব ভালো। র‌্যাঙ্কিং ও এই ধরনের টুর্নামেন্টে অনেক খেলা মিলিয়ে ওরা সম্ভবত কিছুটা ফেভারিট থাকবে। তবে আমরা জানি ও গত কয়েক বছরে দেখিয়েছি, আমরা ভালো খেললে, পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে লড়াই করতে পারি। কালকেও আমরা সেই আশায় নামব। বাংলাদেশ ভালো খেললে আমাদের আরেকটু বেশি ভালো খেলতে হবে, ব্যস।”

তবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা নিশ্চয়ই সেটা হতে দিতে চাইবেন না। তারুণ্য আর অভিজ্ঞদের মিশেলে গড়া দল নিয়ে স্বপ্ন অনেক। বৃত্ত ভাঙার মাধ্যমেই যে সে স্বপ্ন পূরণ সম্ভব।