অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ভ্যাপসা গরমের কারণ জানালো আবহাওয়া অধিদপ্তর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৫:০৪ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০২১ শনিবার  

বাংলা আশ্বিন মাসের শেষের দিকে হলেও প্রচণ্ড গরমে ওষ্ঠাগত প্রাণ। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন বাইরে বের হওয়ারা। দিনে ও রাতে সমানতালে গরম থাকায় স্বস্তি নেই ঘরেও। গত কয়েক দিনে স্বাভাবিকের থেকে তাপমাত্রা বেড়েছে কয়েক গুণ। তবে আগামী দু-একদিনের মধ্যে তাপমাত্রা স্বাভাবিক হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

 আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ বলেন, সাগরে লঘুচাপের কারণে গরম বেড়ে গেছে। আশা করি কাল থেকে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে শুরু করবে। পরশু দিন থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত শুরু হবে। তখন গরম কিছুটা কমে যাবে।
 
তিনি বলেন, ‘এখন অন্য সময়ের চেয়ে তাপমাত্রা ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। রাতের তাপমাত্রাও ২ ডিগ্রির মতো বেশি আছে।’
 
তাপমাত্রা বেশি থাকার কারণ জানিয়ে এ আবহাওয়াবিদ বলেন, ‘এবার দেশ থেকে যখন দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বিদায় নিচ্ছে, ঠিক ওই সময়েই বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে প্রচুর পরিমাণ জলীয় বাষ্প স্থলভাগের দিকে আসে। যে কারণে ভাদ্র মাসের মতো ভ্যাপসা গরম লাগছে। এ অবস্থায় বৃষ্টি যতক্ষণ না হয়, ততক্ষণ গরম কমে না।’

১৮ অক্টোবরের পরে বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে জানিয়ে বজলুর রশিদ বলেন, ‘লঘুচাপটি এখন উড়িষ্যা-অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে আছে। এটির প্রভাবেই বাংলাদেশে বৃষ্টি বাড়বে।’
 
এদিকে, শনিবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, খুলনা, বরিশাল চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
 
ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, চাঁদপুর, পাবনা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, যশোর, খুলনা, বরিশাল, ভোলা এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে তা কিছু কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। 
 
শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল বগুড়ায় ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার সকাল ৯টা শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল ও রাজশাহী বিভাগে বৃষ্টি হয়েছে। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে সাতক্ষীরায়, ৫৪ মিলিমিটার।