অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

কাবুলে ড্রোন হামলা: নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেবে যুক্তরাষ্ট্র

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:০২ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০২১ শনিবার  

কাবুলে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হওয়া একই পরিবারের ১০ জনের আত্মীয়দের ক্ষতিপূরণ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা জানায়, নিহতদের আত্মীয়দের অনির্দিষ্ট পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে চেয়েছে তারা।

মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি কলিন কাল শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) নিহত জামেরি আহমাদির নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান নিউট্রিশন অ্যান্ড এডুকেশন ইন্টারন্যাশনালের প্রতিষ্ঠাতা স্টিভেন কৌনের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল আলোচনায় এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।

এদিকে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ জানায়, তারা ড্রোন হামলায় নিহতদের পরিবারকে নিঃশর্ত ক্ষতিপূরণ দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তারা আরো জানিয়েছে, নিহতদের পরিবারের কেউ যদি আমেরিকায় বসবাস করতে চায় তাহলে তাদের সেই সুবিধাও দেওয়া হবে।

আফগানিস্তানে গত ২৯ আগস্ট শেষ হামলা চালিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সে সময় বলা হয়েছিল, হামলায় কাবুল বিমানবন্দর এলাকায় আইএস-কের প্রধান মার্কিন ড্রোন হামলায় মারা গেছেন।

কিন্তু পরে নিউইয়র্ক টাইমসের বিশ্লেষণে ধরা পড়েছে, আইএস-কে বা জঙ্গিদের ওপর নয়, আমেরিকান ড্রোন সোজা গিয়ে আঘাত হেনেছে তাদের নিজেদের লোকেরই ওপর।

২৬ আগস্ট কাবুল বিমানবন্দর এলাকায় আত্মঘাতী হামলা চালায় আইএস-কে। ওই হামলায় মৃত্যু হয় অন্তত ১৭০ জন আফগান এবং ১০ আমেরিকানের। ২৯ আগস্ট এর ‘পাল্টা জবাব’ দেয় আমেরিকা।

পেন্টাগন জানায়, ভবিষ্যতে এমন হামলা যাতে না হয় সেজন্যই ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে।

কিন্তু সপ্তাহ ঘুরতেই জানা গেছে, হামলায় আইএস-কের যে প্রধানের মৃত্যুর দাবি জানিয়েছিল আমেরিকা, তখন তিনি তবিয়তে ছিলেন। আমেরিকার ওই ড্রোন হামলায় মৃত্যু হয়েছে আমেরিকারই এক সহযোগী আফগানের। এ ঘটনায় বিড়ম্বনায় পড়েছে বাইডেন প্রশাসন।

৩১ আগস্ট আফগানিস্তান ছাড়ার আগে, ২৯ আগস্ট কাবুলে আমেরিকার সেই শেষ ড্রোন হামলায় মৃত্যু হয়েছিল অন্তত ১০ জনের। পরদিনই জানা গিয়েছিল, নিহতদের মধ্যে রয়েছে কয়েকজন শিশুও।

গত ১৫ আগস্ট কাবুলের পতনের আগে থেকেই আফগানিস্তান থেকে বিদেশি ও আফগানদের সরিয়ে নেওয়া শুরু করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদেশগুলো। গত দুইদিনে কাবুল বিমানবন্দর থেকে কাতার এয়ারওয়েজের দুটি চার্টার ফ্লাইট ছেড়ে গেছে। যেগুলোর যাত্রীদের বেশিরভাগই ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশি নাগরিক এবং সেসব আফগান নাগরিক, যাদেরকে উদ্ধার কার্যক্রমের সময় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি।

গত সপ্তাহ থেকে আফগান এয়ারলাইন্সের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলছে। গত ৩০ আগস্ট আফগানিস্তান থেকে সর্বশেষ মার্কিন সেনা চলে যাওয়ার আগের দুই সপ্তাহে বিশৃঙ্খল এক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে লক্ষাধিক মানুষকে উদ্ধারের সময় কাবুল বিমানবন্দরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।