অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ভারতের বিপক্ষে আমরাই জিতবো: বাবর আজম

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৫:৪৬ পিএম, ১৪ অক্টোবর ২০২১ বৃহস্পতিবার  

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে এ পর্যন্ত  জয়হীন থাকলেও  এবারের  আসরে তার দল জিতবে বলে  আত্মপ্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন  পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। ক্রিকেটে ইন্দো-পাক ম্যাচ মানেই  একটা বাড়তি উত্তেজনা, চাপ থাকে দুই দলের খেলোয়াড় ও ভক্ত সমর্থকদের  মধ্যেও।  এবারের  আসরে  ২৪ অক্টোবর ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আসন্ন বিশ্বকাপের মিশন শুরু করবে পাকিস্তান। 

এখন পর্যন্ত আইসিসি বিশ্বকাপে ভারতকে হারাতে পারেনি পাকিস্তান। ওয়ানডে বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৫ ম্যাচেই ভারতের কাছে হার মানতে হয়েছে পাকিস্তানকে।

তবে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এই ইতিহাস বদলে দিতে চান পাকিস্তান অধিনায়ক বারব।  তার নেতৃত্বে  এ পর্যন্ত  ২৮ ম্যাচ খেলে  ১৫টিতে জয় পেয়েছে পাকিস্তান। সাম্প্রতিক সময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে খেলার অভিজ্ঞতা পাকিস্তানকে এগিয়ে রাখছে মনে করেন তিনি।

বাবর বলেন, ‘প্রতি ম্যাচের চাপ ও তীব্রতা সম্পর্কে আমরা জানি, বিশেষ করে প্রথম ম্যাচ। আশা করি, আমরা ম্যাচটি জিততে পারবো এবং মোমেন্টামটা নিয়েই  সামনে এগিয়ে যাব।’

আত্মবিশ্বাস নিয়েই পাকিস্তান বিশ্বকাপ শুরু  জানিয়ে  বাবর বলেন, ‘একটি বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের আগে একটি দল হিসাবে আপনার বিশ্বাস এবং আত্মবিশ্বাস অনেক গুরুত্বপূর্ণ। একটি দল হিসেবে আমাদের আত্মবিশ্বাস অনেক উঁচুতে। আমরা অতীত নিয়ে নয়, ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবছি। আমরা সেটার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা পুরোপুরি  প্রস্তুত এবং ভালো ক্রিকেট খেলার বিষয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী।’ 

সংযুক্ত আরব আমিরাতে খেলার অভিজ্ঞতা অনেক বেশি পাকিস্তানের। সেই অভিজ্ঞতা সহায়ক হবে মনে করেন বাবর, ‘গত তিন-চার বছর ধরে আমরা আমিরাতে ক্রিকেট খেলছি  এবং এখানকার কন্ডিশন সম্পর্কে  আমরা ভাল জানি।উইকেটের আচরণ  এবং  কিভাবে ব্যাটসম্যানদের তা মানিয়ে নিতে হবে আমাদের সেটা ভালভাবে জানা আছে। ম্যাচের দিনে যে দল  ভালো ক্রিকেট খেলবে তারাই জিতবে। আপনি যদি আমাকে জিজ্ঞেস করেন, তাহলে আমি বলবো আমরাই জিততে যাচ্ছি।’

বিশ্বকাপে পাকিস্তানের কোচিং প্যানেল থাকছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক মারকুটে ওপেনার ম্যাথু হেইডেন ও দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার ভারনন ফিলান্ডার। বাবর বলেন ,‘হেইডেন-ফিলান্ডারের রয়েছে  বিশাল  অভিজ্ঞতার ভান্ডার। আমাদের লক্ষ্য থাকবে  যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়া। দ্রুত শেখা ও তাদের সাথে মিশে  যাওয়ার ক্ষমতা ছেলেদের আছে।’